দৈনিক কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুমালেই কর্মচারীরা পাচ্ছেন পয়েন্টস। আর সেই পয়েন্টসের বিনিময়ে কোম্পানির ক্যাফেটেরিয়া থেকে পাচ্ছেন বাৎসরিক বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৭,০০০ টাকার সমমূল্যের খাবার। রাতের বেলা ঘুমের এই সময়টুকু রেকর্ড করছে গদি বানানোর কোম্পানি এয়ারউইভ ইঙ্ক এর তৈরি করা একটি অ্যাপের মাধ্যমে। জাপানের রাজধানী টোকিওর একটি প্রতিষ্ঠান তার কর্মচারীদের এভাবেই উৎসাহিত করছে পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য।
টোকিওর ক্রেজি ইঙ্ক নামের এই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজুহিকো মরিয়ামার দাবি, ব্যবসার সফলতার জন্য পরিপূর্ণ ঘুম আর পর্যাপ্ত বিশ্রামপ্রাপ্ত একজন কর্মচারী বেশ লাভজনক। আর তাই কর্মচারীদের পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে রীতিমতো বাজিই ধরেছেন তিনি। সেই বাজিতে সত্যিকার অর্থেই অর্থ বিনিয়োগ করছেন, শুধুমাত্র কর্মচারীদের ঘুমের জন্য।
বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনকারী এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ামা। তিনি বলেন, “কর্মচারীদের অধিকার আপনাকে রক্ষা করতেই হবে, নাহলে তা গোটা দেশকেই দুর্বল করে দিবে”। শুধু ঘুম নয়, এই প্রতিষ্ঠানটি কর্মচারীদের জন্য তাদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পুষ্টি, শারীরিক ব্যায়াম এবং “পজিটিভ অফিস এনভাইরনমেন্ট”-এর বিষয়াদির দিকেও খেয়াল রাখছে, প্রচার করছে এসবের উপকারিতার কথা। শিশু পালনে সহযোগিতার ব্যবস্থাও আছে এই প্রতিষ্ঠানে। ব্যবসায়ের সাধারণ দিনগুলোতেও চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক ছুটি নেয়া যাবে।
ফুজি রেয়কি নামক স্বাস্থ্য-পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের এক জরিপে দেখা যায়, জাপানে শতকরা ৯২ ভাগেরও বেশি নাগরিক যাদের বয়স বিশের ঊর্ধ্বে, তারা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান না। অতিরিক্ত কাজের চাপ, সেইসাথে শারীরিক বিশ্রামের অপর্যাপ্ততা ২০১৫ সালে জাপানের এক অ্যাড এজেন্সি কর্মচারীর প্রাণ কেড়ে নেয়।
মরিয়ামার মতে, যেসব কর্মচারী নিজেদের জীবনে সুখি, এবং হাসিখুশি- অফিসে তাদের কাজের গুনগত মান অন্যদের তুলনায় বেশি ভাল। আর তাই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিশ্চিত করতে তার কোম্পানি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সৌজন্যে- ঢাকা ট্রিবিউন