দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেমে পড়েছে ইরাকিরা। বিশেষ করে ইরাকের তরুণ প্রজন্ম। নিজেদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, যুদ্ধবিগ্রহ ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে মানসিক শান্তি খুঁজে ফেরা এই তরুণরা অবশেষে যেন কূল খুঁজে পেয়েছে।
দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তি ও ৫ হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে তার সংযোগ সবকিছুতেই চরম আকর্ষণ বোধ করছে। দৈনন্দিন জীবনের সবক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে ‘স্বপ্নের দেশটি’। সব ফেলে সেই প্রেমের টানেই সিউল ছুটছে ‘তরুণ প্রেমিকরা’।
উঁচুতলা থেকে নিচতলা- সবশ্রেণীতেই ছড়িয়ে পড়ছে এই ‘পরদেশি মোহ’। ২৮ বছর বয়সের তরুণী হেবা। ইরাকের প্রাচীন বাগদাদ নগরীর বাসিন্দা। পরিবারসহ নতুন নির্মিত অত্যাধুনিক আবাসিক এলাকা ‘বিসমায়া নিউ সিটি’তে নিজের ফ্ল্যাটে বাস করেন তিনি।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশের ওই এলাকার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোয় সব রকমের সুবিধা রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও চারদিক খোলামেলা।
শহরের বেশির ভাগ এলাকা অস্থিতিশীল হলেও এ এলাকা অনেকটা নিরাপদ বলে মনে করেন হেবা। সম্প্রতি ইরাক ও দক্ষিণ কোরিয়ার দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে বিশাল আবাসিক এলাকাটি গড়ে উঠেছে। হেবার ‘কোরিয়া সংযোগ’ এখানেই শেষ নয়, যা কিছু কোরীয় তার সবকিছুতেই আগ্রহ তার।
ব্যবহার করেন কোরীয় কসমেটিকস, গান শুনলে কোরীয়, টিভি কিংবা নাটক দেখলে কোরীয়, রান্না করলে কোরীয় খাবার। এমনকি ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে দেখে কোরীয় ভাষা শিখছেন তিনি।
হেবার ভাষায়, ‘আমার গড়ন কোরীয়দের মতো না। কিন্তু আমার আমিত্বকে টেনে বের করে এনেছে দেশটি।’