ব্যক্তিগত ১৬১ রানে মুমিনুল হক ফেরার পর নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে আসেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু মাত্র ৪ রানেই ফিরে যান তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ১১১ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে শূন্যরানে উইকেটে আছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর কার্ডে রান ৩০৩, হারিয়েছে ৫ উইকেট।
ঢাকা টেস্টে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। আর এই লক্ষ্যেই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলনেতার আস্থার প্রতিদান দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২৬ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড জুটি সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ পৌঁছায় সুবিধা জনক স্কোরে।
১৮৭ বলে ৮টি চারে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক। আর নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল।
তেন্দাই চাতারার বলে চারির হাতে ক্যাচ দিয়ে মুমিনুল ফেরার পর দ্রুতই তাইজুলের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর আগে ম্যাচের সপ্তম ওভারে কাইল জারভিসের বলে উইকেটরক্ষক চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। নিজের পরের ওভারে জারভিস মাভুতার ক্যাচে লিটন দাশকেও তুলে নেন।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ মেরে সূচনাটা ভালো করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ডোনাল্ড ট্রিপানোর বলে ব্র্যান্ডন টেইলরকে ক্যাচ দেন তিনি। আর দলীয় ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
১৫০ বলে ১২টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান মুমিনুল হক। পরে মুশফিকের সঙ্গে তিনি দেশের হয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ডও গড়েন।
মিরপুর শের ই বাংলায় এই ম্যাচটি শুরু হয় সকাল ৯:৩০ মিনিটে। এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয় ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও ফাস্ট বোলার খালেদ আহমেদ। এছাড়া দলে ফিরেছে মোস্তাফিজুর রহমান।
সিলেট টেস্টে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।