বিমানবন্দরের মেঝেতে ঘুমিয়ে চাকরি হারালেন রায়ান এয়ারের ছয় কেবিন ক্রু। বুধবার রায়ান এয়ারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ক্রু সদস্যরা স্পেনের মালাগা বিমানবন্দরের মেঝেতে ঘুমাচ্ছিলেন এবং এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাগালা রুমে ক্রুদের মেঝেতে ঘুমাতে বাধ্য করা হয় এমন মিথ্যা অভিযোগকে সমর্থন করে একটি ভুয়া ছবি ছড়ানো হয়েছে। সে কারণেই ওই ক্রু সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঙ্গলবার কর্মীদের বরখাস্ত করার পর এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই ছয় ক্রুর বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর ফ্লাইট পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্পেনের মালাগা বিমানবন্দরে আটকা পড়েন এয়ারলাইন্সটির ২০ জন ক্রু সদস্য। সে সময় পর্তুগাল ভিত্তিক ছয় কর্মী মেঝেতে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেন। রিয়ান এয়ার লাইন্সের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বিলিউ এক টুইট বার্তায় ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, মালাগায় সব হোটেলের বুকিং হয়ে গিয়েছিল। ক্রুদের থাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
রায়ানএয়ার বলেছে, ভিআইপি লাউঞ্জে পাঠানোর আগে এই কর্মীদের অল্প সময়ের জন্য অফিসে রাখা হয়। এইটুকু সময়ে কর্মীরা অন্তত মেঝেতে ঘুমাতে পারেন না বলে মনে করে তারা। পরদিনই পর্তুগালের পোর্তোর উদ্দেশে ফ্লাইট ছাড়ে।
পর্তুগিজ ইউনিয়ন এসএনপিভিএসি রায়ানএয়ারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, রাত দেড়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হয়নি ক্রুদের জন্য। এজন্য তারা মেঝেতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কেবিন ক্রুদের ভোর ছয়টায় ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও।
পর্তুগালের এসএনপিভিএসির প্রধান লুসিয়ানা পাসো জানান, ওই ছবিটি কর্মীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ছবি। একটি রুমের মধ্যে ২৪ জন ক্রু ছিলেন এবং তাদের জন্য মাত্র ৮টি চেয়ার ছিল। বেশ কয়েকজন মেঝেতে শুয়ে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এ সময় কেউ একজন এই ছবিটি তুলেছেন এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।