কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী ও পালক মেয়ের গলা কেটেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মেয়ে আসমা আকতার (১৪) মারা গেলেও স্ত্রী আশঙ্কাজনক হাসিনা বেগম (৩৫)। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হোয়াইক্যং চাকমারকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসমা আকতার হোয়াইক্যং চাকমারকুল এলাকার আহমদ শরীফের মেয়ে ও একই ইউনিয়নের চাকমারকুল কেরুনতলীর প্রবাসী ছৈয়দ আলম ও হাসিনা বগমের (৩৫) পালক মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, রাত সাড় ৯টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল টেকনাফে চাকমারকূলস্ত কেরুনতলী এলাকার সৌদি প্রবাসী ছৈয়দ আলমের বাড়িতে হানা দেয়। তারা বাসা থেকে বের হওয়ার আগে বাড়িতে থাকা প্রবাসীর স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার পালক মেয়ে আসমার গলা কেটে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে হাসিনার গলা কাটতে গেলে আসমা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারও গলা কাটে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তরা চলে গেলে বাড়ির ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ আসছে শুনে তাদের আত্মীয় শামসুর স্ত্রী শাহিনা আকতার চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়রা বাড়িটিতে জড়ো হয়ে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার এমএসএফ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার আসমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। অজ্ঞান হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাকাজনক বলে জানা গেছে।
উদ্ধারকারীরা জানান, দুইজনের গলা কাটা ছাড়াও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সৈয়দ আলম ও হাসিনা আক্তারের এক সন্তান রয়েছে। সে কক্সবাজারে একটি আবাসিক মাদরাসায় পড়ে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নাহিদ আদনান তাহিয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত কিশোরীকে মর্গে ও মুমূর্ষ হাসিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নেয়া হয়েছে। ঘটনার রহস্য বের করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও তিনি জানান।