দিনের শুরুতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন পিটার মুর এবং রেগিস চাকাভা। ধীরেসুস্থে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের দিকে। আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে বাড়িয়ে ৬০ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন এ দুজন। এরপরই শুরু তাইজুলের ঘূর্ণি জাদু। বাঁহাতি এ স্পিনারের ভেলকিতে মাত্র ২১ রানেই শেষের পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের ৩২০ রানের মধ্যে অলআউট করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের পেসার আবু জায়েদ রাহি। সে কাজে পুরোপুরি সফল বাংলাদেশ দল। তাইজুল তার ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ইনিংস শেষে তার বোলিং ফিগার ৩৯.৩-৭-১০৮-৬। ক্যারিয়ারে এর ছয় বা তার বেশি উইকেট আরও দুইবার নিয়েছিলেন তিনি। অভিষিক্ত স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু নিয়েছেন ২টি উইকেট। অন্য দুই উইকেট গিয়েছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও একাদশের একমাত্র পেসার রাহির ঝুলিতে।
৫ উইকেটে ২৩৬ রানে প্রথম দিন শেষ করা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে পেরেছে ২৬.৩ ওভার। এ সময়ে মাত্র ৪৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে গিয়েছে সফরকারীরা।
দিনের শুরুতে রয়ে সয়ে খেলে প্রথম চল্লিশ মিনিট কাটিয়ে দিয়েছিলেন মুর এবং চাকাভা। ধীরস্থির ইনিংসে মুর তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। চাকাভাও এগুচ্ছিলেন সে পথেই।
তবে দিনের ১৩তম ও ইনিংসের ১০৩তম ওভারের প্রথম বলে নাজমুল হাসান শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে চাকাভাকে। আউট হওয়ার আগে ২ চারের মারে ৮৫ বল খেলে ২৮ রান করেন চাকাভা।
২৬১ রানের মাথায় চাকাভা ফিরে যাওয়ার পরে বেশিক্ষণ টেকেনি জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বাকি চার উইকেটের ১টি নেন নাজমুল অপু। অন্য তিনটি নেন তাইজুল। ১৯২ বলের ইনিংসে ৬৩ রান অপরাজিতই থেকে যান জিম্বাবুয়ের পিটার মুর।
প্রথম সেশনের শেষ দশ মিনিটের জন্য ব্যাটিংয়ে নামানো হয়েছে বাংলাদেশকে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলেন লিটন কুমার দাস। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে খেলা হয় মাত্র এক ওভার। বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২ রান।