পেশায় গণমাধ্যমকর্মী। ইউরোপে বাংলাদেশি কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ। বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় তার পদচারণা রয়েছে। যেখানেই যান সেখানকার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য আর বাংলাদেশিদের নিয়ে করেন নানা প্রতিবেদন। তুলে ধরেন প্রবাসী বাঙালিদের কষ্টের কথা। যেকোন বাংলাদেশি সেই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারছেন সে’দেশের হাজারো তথ্য।
ভ্রমণ পিপাসু, পর্যটক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী যে কারই ইউরোপ সম্পর্কে আগ্রহ থাকলে সেখানে দ্বীপের প্রতিবেদনগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক এই তিন সিটি বিশ্ব রাজধানী হিসেবে খ্যাত। আর সেই তিন সিটিতেই তার পদচারণা।
ফয়সাল আহম্মেদ দ্বীপ। গণমাধ্যমকর্মী হলেও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মানবতার কল্যাণে তার জন্মস্থানে প্রতিষ্ঠা করেছেন দ্বীপ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষের সেবায় কাজ করছে। দ্বীপের আর্থিক সহযোগিতায় এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছে।
সাংবাদিকতার বাহিরে দ্বীপের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ভ্রমণ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ‘পথে পথে প্রবাসে’ ব্যাপক সুনাম রয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপভিত্তিক নানা বিজ্ঞাপণ চিত্রের মডেল হিসেবে দ্বীপের রয়েছে বেশ সুনাম।
ইউরোপে বাংলা মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ইউরোপ প্রতিনিধি এবং ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইউরোপের কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি আধুনিক ও ফ্যাশনে ফ্রান্স বাংলাদেশ সার্বজনীন পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্বীপকে দেয়া হয়েছে সম্মাননা স্বারক। কখনো সংবাদের পেছনে কখনো ক্যামেরা হাতে দ্বীপ ছুটে চলেছেন দেশ থেকে আরেক দেশ। আর এ কারণেই প্রবাসীরা তাকে উপাধি দিয়েছে ইউরোপের ফেরিওয়ালা।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ