Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
kader-siddik
ফাইল ছবি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান আবদুল কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০টি সিটও পাবে না, সর্বোচ্চ ১৯টি সিট পাবে। মোহাম্মদপুরে কাদের সিদ্দিকীর নিজ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিরোধী ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ড. কামাল হোসেন যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, এখন দেশের যে কোনও প্রান্তে এমনকি টুঙ্গিপাড়ায়ও প্রধানমন্ত্রীর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিজয়ী হবেন। এটা কাদের সিদ্দিকীর চ্যালেঞ্জ।

chardike-ad

ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে সভাপতির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জনগণের মতের বিপক্ষে কখনো যাইনি, যাবো না। আমাকে কালকের (রবিবার) দিনটি দেন। আপনার কাছে অনুরোধ। আগামী ৫ তারিখ আমি আমার মত জানিয়ে দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত পরশু আমি ড. কামাল হোসেনের বাসায় গিয়েছিলাম। গত ৩ দিন ধরে আমার দলের নেতারা বারবার বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের যোগদানের কথা। আমি চিন্তা করছিলাম। ড. কামাল হোসেন, আপনাকে আমি পিতার মতো সম্মান করি।’

ড. কামালকে রাজাকার বলে কটাক্ষ করা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ওরা আপনাকে অনেক অপমান করেছে। আপনাকে রাজাকার বলেছে। বলেছে, খুনিদের সাথে আপনি এক হয়েছেন। আপনি এসব মাথায় নেবেন না। হাতি রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় অনেক প্রাণী ঘেউ ঘেউ করে। আপনারা ঐক্য করেছেন মানুষের জন্য। আপনাদের বিজয় হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেনকে আজকে এখানে পেয়ে ধন্য হয়েছি। তিনি শুধু কামাল হোসেন নন, তিনি ঐক্যফ্রন্ট প্রধান। তিনি সমগ্র জাতির প্রধান। কামাল হোসেন এমন অবস্থানে এখন তিনি যেখানে নির্বাচনে দাঁড়াবেন, সেখানে বিজয়ী হবেন। এমনকি টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার আসনেও তিনি বিজয়ী হবেন। মানুষের পরিবর্তন হতে সময় লাগে না।’

তিনি বলেন, ‘সারাজীবন আমি স্রোতের উজানে চলেছি। আজকেও চলছি। আজকের আওয়ামী লীগ আমার পেছনে গুণ্ডা লেলিয়ে দিয়েছিলো। আমার কর্মীরা আহত হয়েছিলো। পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ভুলি নাই।’

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠক বলেন, ‘আমার ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, বাংলাদেশ বলতে শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা বলতে শেখ হাসিনা। কিন্তু তা আমি মানি না। আমি বলি, বাংলাদেশ বলতে বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা বলতে বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনা যদি হেরে যান, কি হবে? এখন তো তিনি হেরে যাচ্ছেন। এতোদিন দেখতাম আওয়ামী লীগ ২০ সিট পাবে। এখন তো দেখি ১৯ সিটও পাবে না।’

সরকারের সমালোচনা করে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও সংলাপ নয়, বিএনপির শরিকের সাথে সংলাপ নয়। এসব বলে বলেও সেদিন তো একই টেবিলে বসেছেন। জামাই আদরে খাওয়ালেন। এর জন্য তাদের ৭ দফা মানার প্রয়োজন নেই। যেদিন আলোচনায় বসেছেন সেদিন কিন্তু গোলাপ ফুলের সুবাতাস পাননি।’

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ড. কামালের নেতৃত্বে আপনি সংলাপে বসেছেন। আপনার বাবার প্রতিনিধি হয়ে ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন ড. কামাল হোসেন। ইতিহাস তো আপনাকে সাক্ষ্য দেয় না। আপনার চাপার জোর থাকবে না। সকালে পত্র পেলেন বিকালে সংলাপে রাজি হলেন। এভাবে রাজি হতে হতে আপনার আমও যাবে, ছালাও যাবে।’