Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
killed
প্রতীকি ছবি

স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি এখনও। পা রাখেনি কৈশোরেও। তার আগেই অপরাধ জগতে নাম লিখিয়ে ফেলেছে দুই নাবালিকা। তাদের এ অপরাধ কোনো ছোটখাট অপরাধ নয়-খুন করে বন্ধুদের রক্ত খেতে চেয়েছিল তারা! তবে শেষ মুহূর্তে তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলের।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মধ্য ফ্লোরিডার বারটওয়ের একটি মিডল স্কুলে সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে সহপাঠীদের খুন করার ছক কষেছিল ১১ ও ১২ বছর বয়সী দুই ছাত্রী। ছুরি নিয়ে স্কুলের শৌচালয়ে অপেক্ষা করছিল তারা। যাতে কেউ ঢোকা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, ফালা ফালা করে কেটে ফেলতে পারে তার দেহ। একজন-দুজন নয়, এভাবে বেশ কয়েকজনকে খুন করতে চেয়েছিল ওই দুই পড়ুয়া। খুনের পরে আরামে বসে মৃতদেহ খুবলে খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে পরিস্থিতি ততটা ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই তাদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

chardike-ad

শ্রেণিকক্ষে দুজনকে দেখতে না পেয়ে তাদের মধ্যে একজনের বাড়িতে ফোন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তল্লাশি। তাতেই খোঁজ মেলে দুজনের। পরে তাদের পরিকল্পনার কথা সামনে আসে।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বারটওয়ের পুলিশ প্রধান জো হল। তিনি জানান, ষড়যন্ত্র, খুনের চেষ্টা, স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢোকা, সেটি লুকিয়ে রাখা এবং স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য মেয়ে দুটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তারা অপরাধ শিকার করেছে।

তিনি আরও জানান, ওই দুই ছাত্রী নিজেদের ‘শয়তানের উপাসক’ বলে জানিয়েছে। সকলকে খুন করে আত্মহত্যা করারও পরিকল্পনা ছিল তাদের।