জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর ৭ হাজার ১৬০ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিশ্বের ১০টি দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারা নিয়োজিত রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় দায়িত্বপালন করা সদস্যদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫ হাজার ৫০১ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৬ জন, বিমানবাহিনীর ৪৯৯ জন এবং পুলিশবাহিনীর ৮১৪ জন সদস্য রয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী। আনিসুল হকের উল্লেখ করা ওই ১০টি দেশ হলো- ডিআর কঙ্গো, লেবানন, দক্ষিণ সুদান, সুদান (দারফুর), পশ্চিম সাহারা, মালি, সেন্ট্রাল অফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইউএসএ (নিউ ইর্য়ক) ও সাইপ্রাস।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ৩০ বছর পূর্ণ করে বাংলাদেশ। ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে এ দেশের সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার এই পতাকাতলে একত্রিত হন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ পরিবারের সদস্য হয় নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন শুরু হয়। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখা। তারপর থেকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে, ১৭টি আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৮৮ সালে সংস্থাটি শান্তিতে নোবেল লাভ করে।
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত ৩০ বছরে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর ১৪২ জন সদস্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।