চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আল আমিন (৩৫)। গ্রামে অন্যের জমিতে কাজ করতেন। কিন্তু অন্যকে মজুরি দিয়ে যে টাকা রোজগার হতো, সে আয়ে তার সংসার ভালো চলছিল না। তাই একটু বাড়তি আয়ের আশায় বউয়ের সোনার অলংকার বিক্রি করে ৮০ হাজার এবং গ্রামের সমিতি থেকে ঋণ করে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দালালের হাতে দিয়ে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে যান। সৌদি গিয়ে আকামাও (কাজের অনুমতি) পেয়েছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যে ফেরেনি আল আমিনের।
শুধু আল আমিন নন, তার মতো আরও অনেক পুরুষ জীবিকার সন্ধানে ফ্রি ভিসায় সৌদি গিয়ে প্রতারিত হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। আর দেশে ফেরার আগে বিনা দোষে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছেন তাদের সবাই।
আল আমিন ৯ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন। সেখানে সে কাজ করে যা বেতন পেয়েছিলেন তা থাকা-খাওয়াতেই চলে গেছে। এক টাকাও আল আমিন বাড়িতে পাঠাতে পারেননি। এমনকি পরিশোধ করতে পারেননি ঋণের একটি টাকাও। সৌদিতে হঠাৎ ধরপাকড় শুরু হলে অন্যদের সঙ্গে তাকেও রাস্তা থেকে আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সৌদির সফর জেলে (অস্থায়ী কারাগার) আট দিন থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। সফর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি যে সমিতির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে সৌদি গিয়েছিলেন সেই সমিতির কর্তারা কী তাকে ছাড়বেন? এমন কথাই প্রিয়.কমের প্রতিবেদকের কাছে বলছিলেন আল আমিন।
১৭ অক্টোবর, বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আল আমিনসহ ৮০ জন পুরুষ সৌদির সফর জেল (অস্থায়ী কারাগার) থেকে দেশে ফিরেছেন।
সব হারিয়ে হঠাৎ সৌদি থেকে ফিরে আল আমিন যেন দিকও হারিয়ে ফেলেছেন। তাই বিমানবন্দরের ক্যানোপি-২ নম্বর গেট থেকে বের হয়ে বলছিলেন- রাস্তাটা যেন কোন দিকে? অথচ তখন দুইশ গজ দূরেই নীল আকাশের আলোতে পূর্ব দিকের রাস্তায় ছুটে চলা গাড়িগুলো স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছিল।
বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত লিবিয়া ও সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৮৬৪ জন পুরুষ। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ৮০ জন, ৩ অক্টোবর ১৪৪ জন, ৫ অক্টোবর ১৫০ ও ১৭০ জন, ৭ অক্টোবর ১১০ জন, ১০ অক্টোবর ১৩০ জন এবং সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর ৮০ জন পুরুষ শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। এর বাইরেও অনেকে এসেছেন। কিন্তু সে হিসেব হয়তো অনেকের কাছেই নেই। এ পর্যন্ত যারা দেশে ফিরেছেন তাদের সবার অভিযোগ, তাদের বিনা দোষে আটক করা হচ্ছে। পরে জেলে নিয়ে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরা এসব মানুষদের অধিকাংশই সৌদি আরব গিয়েছিলেন ফ্রি ভিসায় কিংবা স্থানীয় দালালের মাধ্যমে। তারা যাওয়ার সময় তাদের সবাই বড় অংকের টাকা ঋণ করে গিয়েছিলেন। তাদের প্রায় সবাই স্থানীয় সমিতি, ব্যাংক, মহাজন এবং সুদ কারবারকারীদের কাছ থেক চড়া সুদে এসব ঋণ নিয়েছিলেন। কেউ আবার সেই টাকা সংগ্রহের জন্য নিজের জায়গা জমি, হালের গরু, ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ এমনকি বউয়ের সোনার গহনা বিক্রি পর্যন্ত করেছেন। গ্রামের সহজ-সরল এসব মানুষের আশা ছিল কাজ করে দেশে টাকা পাঠাবেন, ঋণের টাকাও শোধ করবেন। সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে। সুখেই থাকবে তাদের স্ত্রী-সন্তানরা। সেই আশার বুকে ঋণের পাথর জমেছে। ঋণ এখন তাদের কাছে বড় বোঝা হয়ে গেছে।
যেমনটি বলছিলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার যুবক নাসির উদ্দিন খান। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ফ্রি ভিসায় ৭ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর তার আকামা বানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এক বছর ঘুরিয়ে কফিল (চাকরির নিয়োগদাতা) ও সেখানকার দালাল আকামা বানিয়ে দেয়নি। শেষে তাকে উল্টো মামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেন তারা। ছয় দিন জেলে থাকার পর এক বছর ঘুরতেই আবার দেশে আসতে হলো তাকে। দেড় বছর থেকেও কোনো কিছুই আনতে পারেননি। অন্যদের মতো তিনিও খালি হাতে দেশে ফিরেছেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভাবছিলাম কাজ কইরা দ্যাশোত টেকা পাঠামু, ঋণ শোধ করুম। কিন্তু সেই ঋণ এখন বড় বোঝা হইয়া গেল।’
আর মানিকগঞ্জ সদরের রাসেল তো যথারীতি প্রতিজ্ঞা করলেন। তিনি বেঁচে থাকলে জীবনে সৌদিতে যাবেন না। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানালেন, সৌদিতে যাওয়ার সময় তিনি ৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন। ২ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করে বাড়তি টাকা চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। সৌদিতে যাওয়ার পর সেখানে একটি আদালতের ক্লিনারে হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু সে বেতন অত্যন্ত কম। তারপরও ছিলেন যদি ভালো কিছু হয়। সেখান থেকে তাকে পুলিশ ধরে অন্যদের সঙ্গে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এতদিন পর তিনি দেশে আসলেও বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় পর্যন্ত তার দেশে ফেরার কথা পরিবারের কেউ জানে না বলে জানালেন রাসেল।
রাসেল বলেন, ‘বাবা অসুস্থ। ঋণ করি বিদেশ গেচি। ফেরত আইছি শুনলে বাবা হার্ট অ্যাটাক করবে। তাই বাড়িতে কিচ্চু জানাই নাই।’
ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন কী করে এমন প্রশ্ন করতেই কিছুক্ষণ আনমনা থেকে উত্তর দিলেন- গ্রামে গিয়া কিছু একটা করে তো ঋণ শোধ করা লাগবে। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক বসেই ছিলেন রাসেল। তার চিন্তা তিনি গ্রামে ফিরে বাবাকে কী বলবেন। যাদের কাছ থেকে তিনি ঋণের টাকা নিয়েছেন তাদের কাছেই বা কী বলবেন। তার এভাবে ফিরে আসায় পরিবারের লোজকন কী বুঝবে, এসব ভেবে কোনো জবাব তার মাথায় আসে না।
রাসেল হয়তো ৯ মাস করে নামমাত্র কিছু বেতন পেয়েছিলেন কিন্তু এমন মানুষও দেশে ফিরে এসেছেন যারা দীর্ঘদিন কাজ করেও বেতন পাননি। শূন্য হাতেই দেশে ফিরেছেন। নেহায়েত এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
তেমনি একজন বগুড়া গাবতলী এলাকার রেজাউল করিম। সৌদির একটি হাসপাতালে কাজ দেওয়ার কথা বলে তাকে ফ্রি ভিসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি যান তিনি। পরে তাকে কাজ দেওয়া হয় দাম্মাম শহর থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দুরের একটি মরুভূমিতে। সেখানে তিনি সাত মাস তিন দিন কাজ করেছেন। কিন্তু কোম্পানির মালিক তাকে একটি টাকাও দেয়নি। তবে মরুভূমির বিনা বেতনের কাজ থেকে নিস্তার পেলেও দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে শুরু হওয়া ঋণের চিন্তা তার পিছু ছাড়ছে না।
বগুড়ার অাদমদিঘির অাবু বায়েজীদ দেড় বছর অাগে সাড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দালালের মাধ্যমে সৌদি যান। সেখানে গিয়ে দেড় বছর কাজও করেন। সৌদি যাওয়ার অর্ধেক টাকা তার উঠেও এসেছে। কিন্তু এরই মধ্যে সব স্বপ্ন এলোমেলো হয়ে গেল। একদিন দুপুরে খাবার কেনার জন্য রাস্তায় বের হলে সৌদি পুলিশ তাকে অাটক করে। গত ১০ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরেছেন।
বায়েজীদ জানান, সৌদি যাবার সময় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ১ লাখ, ঋণ করে ১ লাখ এবং তার দোকান বিক্রি করে বাকি টাকা সংগ্রহ করেন। জমি-জমা বলতে তার কোনো কিছুই নেই তার। দেশে ফিরেছেন শূন্য হাতে। পরনে একটি শার্ট, প্যান্ট অার স্যান্ডেল ছাড়া কিছু নিয়ে আসতে পারেননি। গ্রামে গিয়ে কী করবেন এই ভাবনা বিমানে ওঠা থেকেই তাকে তাড়া করে ফিরছে।
সিরাজগঞ্জ সদরের শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকরা গ্রামের সিরাজ মিয়া ৮ লাখ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসায় সৌদি গিয়েছিলেন। সেখানে ১০ মাস ছিলেন। কাজও পেয়েছিলেন আকামা ছাড়াই। কিন্তু সম্প্রতি আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) না থাকায় পুলিশ তাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে নেওয়া ৮ লাখ টাকার ঋণ শুধবেন কী করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টেকা তুলবো কেবা করি, কোম্পানিতো আমাক তো আকামা করি দিলো না। তাগোর ভরসায় আছিলাম। তারা তো আকামা কাগজপাতি কিছুই দিলাে না। আবার কোম্পানির ভেতরোত ধরি পাঠায় দিলো।’
এনজিও কর্মী ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের হেড অব প্রোগ্রাম শরিফুল হাসান বলেন, ‘এই মানুষগুলাে যখন রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, দেশ গড়ছে তখন তাদের ভূমিকা থাকে এবং সেই সময়ে আমরা অনেক খুশি। কিন্তু এই মানুষগুলো যখন বিপদে পড়ছে তখন তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্বটা শুধু সরকার বা বেসরকারি সংস্থার একার নয়, সবার। আমাদের সবাইকেই এই দায়িত্বটা নিতে হবে। এই মানুষগুলো শূন্য হাতে দেশে ফিরছে বলেই তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
সৌদিসহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গিয়ে আবার দেশে ফেরত আসা বন্ধে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও অভিবাস কর্মী উন্নয়ণ প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারম্যান শাকিরুর ইসলাম বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই ফ্রি ভিসাটা বন্ধ করতে হবে। এতে যদি অভিবাসনের সংখ্যা কমে যায় তারপরেও তা করতে হবে। গতবার ৫ লাখের বেশিও সৌদি গেছেন। তাদের বেশির ভাগই ফ্রি ভিসায়।’
‘এখন সৌদি সরকার এখন যদি তাদের একই সঙ্গে ফেরত পাঠায় তবে তা সরকারেরর জন্য বোঝা হয়ে যাবে। শ্রমিক ফেরত পাঠানো কীভাবে বন্ধ করা যায় সেজন্য সৌদির সাথে বসে দ্রুত বাংলাদেশ সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের হয়রানি এবং ফেরত আসা বন্ধে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাও সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।’
দুই কারণে সৌদি থেকে শ্রমিকরা ফেরত আসছে বলে মনে করেন শাকিরুর ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘যারা যাচ্ছে তারা ফ্রি ভিসায় যাচ্ছেন। অধিকাংশ সময়ে এটিকে প্রমোট করা হচ্ছে। ফলে যারা যাচ্ছেন তারা অফিসিয়ালিভাবে আনডকুমেন্টেট। নিয়ম অনুযায়ী তাদের কারও অধীনে কাজ করার কথা কিন্তু যেহেতু ফ্রি ভিসায় পাঠানো হচ্ছে এ কারণে তারা মালিকের অধীনে কাজ করছেন না। তারা অন্য কোথাও কাজ করছে। সৌদি আইন অনুযায়ী দেশটির পুলিশ তাদের ধরতে পারে। যদি তারা মালিকের অধীনে কাজ না করে বা অন্য কোথাও অবৈধভাবে কাজ করে থাকে। তাদের ধরে রিপোর্ট করা হয়।’
‘এখানে আমাদের দেশের ব্যর্থতা হলো তাদের কেন ফ্রি ভিসায় পাঠানো হচ্ছে এটিও কিন্তু বড় প্রশ্ন। রিক্রুটিং এজেন্সি ও কিছু সরকারি কর্মকর্তারা এই ভিসাকে নতুন করে নামকরণ করেছে (এফএনএফ) ফ্যামেলি অ্যান্ড ফেন্ডস ভিসা। আসলে এটি ফ্যামেলি অ্যান্ড ফেন্ডস ভিসা না। এটিকে বাংলাদেশি কিছু লোক সৌদিদের কাছ থেকে কিনে বাংলাদেশি দরিদ্র মানুষগুলোর কাছে চড়া দামে বিক্রি করছে।’
‘তাদের বোঝানো হচ্ছে তারা ফ্রি ভিসায় গেলে বেশি টাকা কামাই করতে পারবে। এখানে দুটি পক্ষ লাভবান হচ্ছে একটি হলো- সৌদিরা ফ্রি ভিসা তৈরি করে তারা টাকা আয় করছে আর বাংলাদেশের দালাল শ্রেণি টাকা কামাচ্ছে আরেকটি পক্ষ হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যারা এই ভিসাগুলােকে প্রমোট করছে। এই ভিসা সম্পর্কে না জেনে অধিকাংশ মানুষ সৌদি গিয়ে বিপদে পড়ছে এবং ফেরত আসছে।’
মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন বলেন, ‘এই বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছিল তাদের দেখভালের দায়িত্ব, তাদের অন্য দেশে পাঠানো এবং তারা যাতে ভালোভাবে চলতে পারেন তার দায়িত্বটা রাষ্ট্রের। কিন্তু দুঃখজনক হলেই সত্য রাষ্ট্র এ ধরনের দৃশ্যমান কোনো উদ্যােগ গ্রহণ করছে না এবং উদ্যোগের ঢালাও প্রচার হলেও তার বাস্তবায়ন আমরা দেখছি না।’
প্রবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) গাজী মোহাম্মদ জুলহাস বলেন, ‘আমাদের আইন কানুনে যা যা আছে আমরা তার সবটাই দেয়ার চেষ্টা করি। এ ছাড়াও যেগুলো সমস্যা আসে সেগুলো সমাধানের মাধ্যমে যেভাবে তারা সহায়তা চান তা তাকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে সবটাই তো আর পারা যায় না, কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশ যায় তখন আমাদের পক্ষে তাকে সহায়তা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।’
সৌজন্যে- প্রিয়.কম