ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ২০১০ সাল থেকে শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন লিওনেল মেসি। তার গঠিত ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করছে সারা বিশ্বজুড়ে। তবে ব্যক্তি উদ্যোগেও প্রায়ই সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে দেখা যায় তাকে। এবার ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণেও এগিয়ে এলেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।
ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য আয়োজিত এক ক্যাম্পেইনের অন্যতম মূল উদ্যোক্তা ও শুভেচ্ছাদূত মেসি। গেল সপ্তাহে বার্সেলোনায় সেই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য ‘প্যাডিয়াট্রিক ক্যান্সার সেন্টার’র উদ্বোধন করেন এই ফুটবল মহাতারকা।
এমন মহৎ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আনন্দিত মেসি বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের মুহূর্ত। এই প্রজেক্টের অংশ হতে পারা এবং এটাকে বাস্তবে পরিণত হতে দেখা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’
‘আমি এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ‘আমি আশা করি, এর মাধ্যমে শিশুরা ক্যান্সারের মতো নিষ্ঠুর রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেতে পারবে এবং আমরা যেন এতে তাদের সহায়তা করতে পারি।’ ‘এমন স্বপ্নের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি।’
২০২০ সালের মধ্যভাগে এই হাসপাতাল চালু হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। এই হাসপাতাল নির্মাণে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় এক লক্ষ মানুষ, ১৫০ কোম্পানি ও ১০জন দাতা অংশ নিয়েছেন। হাসপাতাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৭.৩ মিলিয়ন ইউরো দান এসেছে বিভিন্ন দাতাদের কাছ থেকে। এখনও আরও ৩০ মিলিয়ন ইউরো প্রয়োজন বাকি কাজ শেষ করতে।
মেসির ডাকে সাড়া দিয়েই বিশ্বের নানান প্রান্ত থেকে এই হাসপাতাল নির্মাণে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন অনেকে। তবে প্রয়োজনীয় সকল অর্থ জমা না হলেও হাসপাতাল চালু করা হবে। এদিকে বার্সার ভাইস-প্রেসিডেন্ট জর্দি কার্দোনের বলেছেন, লিও মেসি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাকি অর্থ তারা পরিশোধ করবে।
এর আগেও শিশুদের জন্য কাজ করেছেন মেসি ও তার ফাউন্ডেশন। ২০১৫ সালে ইউনিসেফের শিশু তহবিলে বিশাল অঙ্কের টাকা দান করেন মেসি। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শিশুদের জন্য ২০টি অত্যাধুনিক ক্লাস তৈরি করে দেন তিনি।
মেসি নিজে ২০১০ সাল থেকে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। আর তার প্রতিষ্ঠিত মেসি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার একশ’র বেশি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ১৬০০ শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব এবং তাদের তাদের মাসিক খরচের ৬০% বহন করার দায়িত্বও নিয়েছে ২০০৭ সালে গড়ে তোলা এই ফাউন্ডেশন।