নয় বছরের শিশু পাভেল সরকার। যে বয়সে দুরন্তপনায় মেতে উঠার কথা, সে বয়সে রোগ-যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে উঠছে পাভেল। তিন বছর বয়স থেকে তার গায়ের চামড়া কুঁচকানো।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীরের চামড়া যেন সাপের চামড়ার মতো দাগ কাটা। অস্বাভাবিকভাবে ফুলে উঠছে তার পেট। দুটি পা শুকিয়ে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেট ফুলছে তার।
বিরল রোগে আক্রান্ত পাভেল সরকার বগুড়ার ধুনট উপজেলার মানিক পোটল গ্রামের দিনমজুর আল মাহমুদের ছেলে। এই রোগে আক্রান্ত সন্তানের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না দরিদ্র মা-বাবা। তাই বাড়িতেই রেখেছেন সন্তানকে। চলছে না কোনো চিকিৎসা।
পাভেলের মা দোলেনা খাতুন বলেন, জন্মগতভাবে পাভেলের ডান পায়ের গোড়ালি বাঁকা। তিন বছর বয়সে তার গায়ে ফোসকা উঠে ঘা হয়। গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসায় ঘা শুকায়। কিন্তু তারপর থেকেই গায়ের চামড়ায় খসখসে কালো দাগ ও কুঁচকে যায়। একইসঙ্গে পেট ফুলা ও দুই পা শুকাতে হতে থাকে। রোগ-যন্ত্রণা নিয়ে বেড়ে ওঠা পাভেল সাত বছর বয়সে হাঁটতে শিখেছে। ছেলের এমন অবস্থা হলেও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
পাভেলের বাবা আল মাহমুদ বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে যমুনা নদী আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। এরপর মানিক পোটল গ্রামে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। চার সন্তানের মধ্যে পাভেল ছোট। তবে তিন সন্তান সুস্থ হলেও পাভেল দীর্ঘদিন অসুস্থ। অর্থের অভাবে পাভেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। গ্রামের কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করে ছেলেকে সুস্থ করতে পারিনি। সন্তানের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে আমি সাহায্য চাই।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি বিরল রোগ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া শিশুটির রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে শিশুটিকে দেখানো প্রয়োজন।
পাভেল সরকারের জন্য সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে তার চাচা আনোয়ার হোসেনের মোবাইলে (০১৭৩৭৫৩৪৮৮৮) যোগাযোগ করা যাবে।