সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালী করা হবে। মেসার্স হাল্লা এবং মির আকতার লিমিটেড যৌথভাবে এ কাজ বাস্তবায়ন করবে। আজ (বুধবার) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজ করবে মেসার্স হাল্লা এবং মির আকতার লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু জনবল এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন সে অনুপাতে বাড়েনি। দিন দিন যাত্রী বাড়লেও বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, লোকবল এবং কারিগরি ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা সে হারে বাড়েনি।
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে প্রতিদিন আট থেকে ৯টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এর মধ্যে লন্ডন, আবুধাবি, দুবাই, জেদ্দা থেকে সরাসরি ফ্লাইটও নামে এখানে। তবে সিলেট থেকে সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের কোনো ফ্লাইট দেশের বাইরে যায় না। লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেটে ফ্লাইট অবতরণ করলেও সিলেট থেকে যাত্রীদের ঢাকা হয়ে লন্ডন যেতে হয়।
এ অবস্থায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালী করার জন্য গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)। সেই প্রকল্পের ব্যয় কিছুটা কমিয়ে এবার ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।