Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

amirat-bdসংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের কয়েক লাখ শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় রয়েছেন। যেসব শ্রমিক অবৈধভাবে থাকছে তাদের বৈধতার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা দেয়া হয়।

দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য এ সুযোগ থাকছে অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। আরব আমিরাতে থাকা বাংলাদেশিরা জানান, এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও কিছু নতুন সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা খোলা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনেরও সুযোগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন অনেক প্রবাসী।

chardike-ad

সাধারণ ক্ষমায় হাজার হাজার অবৈধ প্রবাসীরা বৈধ হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ডা. মোহাম্মদ ইমরান যেসব অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমিরাতে রয়েছেন তাদের কোনো ধরনের ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র না থাকলেও, তাদেরকে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা এমআরপি বানানোর সুযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। তাই অবৈধ অভিবাসীদের দূতাবাসে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ডা. মুহাম্মদ ইমরান।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির তালুকদার, সাংবাদিক মোহাম্মদ মোরশেদসহ প্রবাসী নেতারা আমিরাতের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার আহ্বান জানান।

আমিরাতের কর্মরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসীরা ভিসা পরিবর্তনের এ ঘোষণার কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হন। এ ঘোষণায় সাধারণ প্রবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তারা এটাকে অনেক বড় সাফল্য বলে মনে করেন ও এ ঘোষণাকে আমিরাত সরকারের ইতিবাচক ঘোষণা বলে অভিন্দন জানান।

এরপর নতুনভাবে শ্রমিকদের ভিসা ট্রান্সফারের বিষয়টি দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে। সৌদি আরবের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহ শ্রমবাজার আমিরাতে বর্তমানে ছয় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে সরকার সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলেও বৈধ হতে না পারার কারণে প্রায় ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়তে বাধ্য হন।