Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

feni-mosqueপ্রায় ৪শ বছর আগে চাঁদগাজী ভূঞা নামে এক প্রভাবশলী জমিদার ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নে ২৮ শতক জমির ওপর নির্মাণ করেন চাঁদগাজী ভূঞা জামে মসজিদটি। ইট এবং সুরকি দিয়ে নানা কারুকার্য খচিত এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট, প্রস্থ ২৪ ফুট এবং উচ্চতা ৩৫ ফুট। মসজিদটির তিনটি গম্বুজ এর সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

মসজিদের পাশেই ১৮ শতক জায়গায় একটি দিঘী তৈরি করেন চাঁদগাজী। স্বচ্ছ পানির দিঘীটি প্রচীন এ মসজিদকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। দিয়েছে নতুন মাত্রা।

chardike-ad

মসজিদে প্রবেশের জন্য প্রাচীন কারুকার্য খচিত দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন তিনটি কাঠের দরজা রয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলেই প্রাচীন ঐতিহ্যের সকল চিহ্ন পাওয়া যায়। এখানে কয়েকশ মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

কিন্তু সংস্কারের অভাবে প্রাচীন এ স্থাপত্য বিলুপ্ত হওয়ার পথে। সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে কোথাও-কোথাও প্লাস্টার খসে পড়ছে। এছাড়া মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।

জানা যায়, ১৯৯২ সালে প্রাচীন স্থাপত্য হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় জাদুঘর থেকে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে মসজিদটির কিছু-কিছু অংশের সংস্কার করা হয়। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে মসজিদটির পুরো সংস্কার সম্ভব হয়নি।

প্রাচীন এ মসজিদকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় শিক্ষালয় এখানে গড়ে উঠেছে। এর আগে মক্তবে পড়ে এলাকার ছেলে-মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করলেও ১৯৮২ সালে চাঁদগাজীর বংশধররা মসজিদের পাশে চাঁদগাজী ভূঁঞা দারুল কুরআন নামে একটি নুরানি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও চাঁদগাজী ভূঁঞার নামে এ এলাকায় চাঁদগাজী বাজার, চাঁদগাজী ইসলামিক পাঠাগার, চাঁদগাজী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

চাঁদগাজী ভূঁঞার সপ্তম বংশধর ষাটোর্ধ্ব মুফতি মাওলানা আব্দুল গনি ভূঞা জাগো নিউজকে বলেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রাচীন এ মসজিদটি। এলাকার ঐতিহ্য রক্ষার্থে এটির সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হালিম ভূঞা বলেন, মসজিদটি সংস্কারে আমরা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ঐতিহ্য রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।