কোরিয়ায় অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশে কাজে লাগানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছে কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরা। গতকাল সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে)’ এর সহযোগিতায় দূতাবাস এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার সূচনা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন । তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশী শিক্ষায় শিক্ষিতদের আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানান। কোরিয়া থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে তা কিভাবে বাংলাদেশে কাজে লাগানো যায় তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা সভায় ৮টি বিষয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আলোচকবৃন্দ। আলোচনায় কৃষি উন্নয়ন নিয়ে ছনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক এবং বাংলাদেশের উপজেলা কৃষি অফিসার শামীম আহমেদ, কোরিয়ানদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও পর্যটনে উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার এবং কইকা ফেলো আদেব বিল্লাহ, শিক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক সাইফুল হক ফারুকি, আইটি গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ আজম খান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ে সিউল সোর্সিং এর সিইও সরওয়ার কামাল, গবেষণা উন্নয়ন নিয়ে জিস্টের রিসার্চ ফেলো ডঃ মোঃ শামসুদ্দিন আহমেদ, কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো ডঃ তনুজা দাস এবং বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিষয়ে ডঃ গোলাম হাফিজ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় বক্তারা বিভিন্ন সেক্টরে অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো, টেকনোলজি ট্রান্সফারসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। আলোচকবৃন্দ শিক্ষা, গবেষণা, আইসিটি, শিল্প বাণিজ্যে কোরিয়ার সাথে আরো নিবিড়তর সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন। নির্দিষ্ঠ আলোচনা শেষ দর্শক সারি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য মতামত প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত তার সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মতামত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন । সব শেষে রাষ্ট্রদূত শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আলোচনা পর্ব শেষে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় ।