ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাশের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পরও ৪৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। অথচ এদিন উদ্বোধনী জুটিতে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড ১২০ রানের জুটি গড়ে লিটন ও মেহেদি হাসান মিরাজ ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে অন্য ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীনতায় শেষ পর্যন্ত ভালো স্কোর করতে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করা লিটন সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি উইকেট পান কুলদিপ যাদব।
এশিয়া কাপের ফাইনালে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
শেষ উইকেট হিসেবে জসপ্রিত বুমরাহ’র বলে বোল্ড হন রুবেল হোসেন। দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ করে রান আউট হন সৌম্য সরকার। রান আউট হন নাজমুল ইসলাম অপুও।
এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি করে ফেরন লিটন দাশ। যদিও কুলদিপ যাদবের বলে মাহেন্দ্র সিং ধোনির স্ট্যাম্পিংটা বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। ১১৭ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২১ রান করেন লিটন।
টাইগাররা শুরুটা দারুণ করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে ভারত। ব্যক্তিগত ৪ রানে ও দলীয় ১৫১ রানে কুলদিপ যাদবে দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে থাকা জসপ্রিত বুমরাহ’র ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা মুশফিকুর রহিমকে বিদায়ে করে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় ভারত। দলীয় ১৩৭ রানে তিনি কেদার যাদবে বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে জসপ্রিত বুমরাহ’র ক্যাচে পরিণত হন। পরে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাশ। ৮৭ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন তিনি।
লিটন দাশের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ খেলে মেহেদি হাসান মিরাজের বিদায়ে পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ওয়ান ডাউনে নামা এ বাঁহাতি ব্যক্তিগত ২ রানে যুজভেন্দ্র চাহালের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন।
উদ্বোধনী উইকেটে এদিন ভারতের বিপক্ষে লিটন দাশকে নিয়ে রেকর্ড জুটি গড়ে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২০.৫ ওভারে তাদের জুটিতে ১২০ রান আসে। দলীয় ১২০ রানের কেদার যাদবে বলে আম্বাতি রায়ডুর কাছে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩২ রান করেন মিরাজ।
ওপেনিং জুটিতে লিটন দাশ ও মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত সূচনায় ১৭.৫ ওভারেই দলীয় শতক তুলে নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাশ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ঝড়ো শুরুতে মাত্র ৭.৪ ওভারেই দলীয় ৫০ ছুঁয়ে ফেলে টাইগাররা।
এর আগে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে চমক দেখিয়ে ওপেনিংয়ে লিটন দাশের সঙ্গে জুটি হয়ে নামেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনার আতাহার আলী খানের সঙ্গে লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যান হয়েও ওপেন করেছিলেন মোহাম্মদ রফিক।
এদিন ভারত মাঠে নেমেছে সপ্তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে। আর এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রেখেছে টাইগাররা। আজকের ম্যাচ জিতলেই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শিরোপা জেতার স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।