Search
Close this search box.
Search
Close this search box.


মোহাম্মদ আল আজিম, সিউল থেকে

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে ইপিএসে আগত দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে মতবিনিময় করেন সিউলস্থ বাংলাদেশ  রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান সচিব (শ্রম) মকিমা বেগম, প্রধান সচিব ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিন, কনস্যুলার মাসুদ রানা সহ দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দ। দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে ইপিএস বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায় তুলে ধরেন বক্তারা। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, ইপিএস নারী কর্মী আরও বৃদ্ধি করা গেলে  বাংলাদেশ শ্রমবাজার এগিয়ে যাবে বহুদূর। তিনি নারী কর্মী বৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইপিএস কর্মদের জন্য ওয়েল ফেয়ার ফান্ড তৈরী, কর্মক্ষেত্রে বীমার বাহিরে ব্যক্তিগত বীমার গুরুত্ব, অসুস্থ ইপিএস কর্মীদের সহযোগিতা প্রদানসহ অসুস্থ ব্যাক্তিদের পাশে দাঁড়ানোসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে মতামত ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া  ইপিএস কর্মীদের মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার পর উদ্যোক্তা তৈরী ও প্রশিক্ষণের সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।।

তিনি তার বক্তব্যে কোরিয়াতে বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খুলে পড়ালেখার সুযোগ তৈরীর ব্যাপারেও সভায়  আলোচনা করেন। ইপিএস মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানটি কিছুদিন পর পর করার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম নিজেই।  তিনি ইপিএস কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য সেবা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। সভায় কোরিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবস্থান, ইপিএসের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত, ইপিএসের সমস্যা ও সমাধানের উপায়, অন্যান্য দেশের চেয়ে ইপিএসে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ এবং ইপিএসে আরো বেশি বাংলাদেশী নিয়োগের উপায়সহ ইপিএসের সার্বিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন বক্তারা।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এসকল বিষয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন ‘আপনাদের প্রতিটি বিষয়ে আমি সঠিক পদক্ষেপ নিবো এবং সবসময় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করে যাবো। আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান ও কোরিয়া প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্ঠা আমাদের থাকবে। এবং প্রতিটি বিষয়ে আমাদের ফেসবুক পেইজে আমরা সকল আপডেট দিয়ে দিব।

দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাস পরিবার ও কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অংশগ্রহণে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য গত ২৪ জুন শনিবার  ইপিএসের দশ বছর পুর্তি উপলক্ষে মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছিল।