ভারতে তিন তালাকের প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীসভা এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশের অনুমোদন দেয়। সরকার এর আগে দেশটির সংসদের উভয় কক্ষে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করলেও তা পাশ করাতে ব্যর্থ হয়। আর এই অধ্যাদেশকে দেশটির মুসলিম নারীদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে অভিহিত করছেন অনেকে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জাতীয় সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশনে উচ্চকক্ষ লোকসভায় তালাক-ই-বিদাতকে অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে একটি বিল তোলা হলে সেটি পাশ হয়। কিন্তু বিল সংক্রান্ত খসড়া আইনে যেসব অপরাধের বিধান ছিলো তা বিরোধী দলগুলো বর্জন করায় রাজ্য সভায় এসে আঁটকে যায় এ বিল।
এর আগে আগস্টে ‘মুসলিম ওম্যান প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারিজ বিল’ নামের ওই বিলের নানারকম বিরোধীতা শুরু হলে তিনটি সংশোধনীর অনুমোদন দেয় সরকার। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী প্রস্তাবিত আইনটি হবে জামিন অযোগ্য এবং অপরাধী ব্যক্তি বিচারের আগে জামিন চাওয়ার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যেতে পারবেন। জামিন অযোগ্য আইন হওয়ার কারণে কোনো পুলিশ স্টেশন থেকে ওই অপরাধীর জামিন মঞ্জুর করতে পারবে না পুলিশ।
এছাড়া অন্য একটি সংশোধনীতে এটা স্পষ্ট করা হয় যে যদি অপরাধীর স্ত্রী বা তার রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয় অথবা বিয়ের বদৌলতে তার আত্মীয় হয়েছেন এমন কেউ যদি অভিযোগ করে শুধু তাহলেই পুলিশ এজহার দাখিল করতে পারবে।
তৃতীয় আরেকটি সংশোধনীতে বলা হয় যদি কেউ তাৎক্ষনিক তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা আপোষযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এরকম কোনো কোনো ঘটনা ঘটলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার ক্ষমতা ব্যবহার করে স্বামী-স্ত্রীর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের আগস্টে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) তাৎক্ষনিক তিন তালাককে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা দিয়ে রায় দেন।