বাঁ হাতের কবজিতে চোটের কারণে ম্যাচের শুরুতেই ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে ড্রেসিং রুমে যেতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের প্রয়োজনে কেবল ডান হাতকে শক্তি বানিয়েই নেমে পড়লেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল।
ম্যাচের শুরুতেই কব্জিতে আঘাত। পরে হাসপাতালে করা হলো স্ক্যান। যেখানে দেখা গেল হাতের কব্জিতে চিড় ধরা পড়েছে। জানা গেছে এশিয়া কাপেই আর খেলতে পারবেন না তিনি। পরে টিভিতেও দেখা গেল হাতে ব্যান্ডেজ এবং গলায় সেই হাত ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে তামিমের মাঠে নামার কথা চিন্তা করাটাই যেন বোকামি। কিন্তু দেশপ্রেম কাকে বলে, তার চরম পরাকাষ্ট্রা প্রদর্শন করলেন তামিম ইকবাল। একে একে যখন একপাশে উইকেটের পর উইকেট পড়ছে, তখন অন্য পাশে অপরাজিত থেকে যান সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহীম।
এ পরিস্থিতিতে ম্যাচের ৪৭তম ওভারের ৫ম বলে আউট হয়ে যান মোস্তাফিজুর রহমান। বল তখনও বাকি ১৯টি। দলীয় রান ২২৯। এ পরিস্থিতিতে অপরাজিত থাকা তামিম ইকবাল মাঠে নামলে মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেন।
তামিম তো আহত। ভাঙা হাত নিয়ে কীভাবে মাঠে নামবেন তিনি? কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠে নামলেন তামিম। ভাঙা হাত। কব্জিতে ব্যান্ডেজ বাঁধা। এমন পরিস্থিতিতে সুরাঙ্গা লাকমালকে এক হাত দিয়ে মোকাবেলা করেন তামিম।
এরপর বাকি তিন ওভারে স্ট্রাইকে থাকেন মুশফিক। অন্য প্রান্তে তামিম শুধু তাকে সঙ্গ দেন। মুশফিক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাট করে যান। ৪৮তম ওভারে থিসারা পেরেরার কাছ থেকে মুশফিক নেন ১৫ রান। ৪৯তম ওভারে দাসুন সানাকাকেও একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি।
যদিও দেশপ্রেম থেকে, কঠিন এক মুহূর্তে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেন তামিম। এ নিয়ে সবাই হয়ত খুব উল্লসিত। তবুও একতা ঝুঁকি তামিমের নেয়া ঠিক হয়েছে কি-না, সেটাও প্রশ্ন সবার মনে।