ভাতিজা ইমাম-উল হককে পাকিস্তান জাতীয় দলে নেয়ার পর বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয় পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হককে। যদিও এখন ইমাম-উল হকই পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছেন। এবার ইনজামাম-উল হক বিতর্কে জড়ালেন নিজের ছেলেকে নিয়ে।
না, পাকিস্তানের জাতীয় দলে নয়, জুনিয়র নিজের ছেলে ইবতিশাম-উল হককে অন্তর্ভূক্ত করতে ইনজামাম প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইনজামাম হচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। আর জুনিয়র দলের প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন বাসিত আলি। নিজের ছেলেকে জুনিয়র দলে নেয়ার জন্য বাসিত আলিকে নাকি বলে দিয়েছেন ইনজামাম।
আবার এই অভিযোগটা এমন একজন তুলেছেন, যিনি অতীতে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন। তিনি হলেন আবদুল কাদির। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাসিত আলি নাকি নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তাকে (কাদিরকে)। যদিও আবদুল কাদিরের এই অভিযোগ সম্পূর্ণই অস্বীকার করেছেন ইনজামাম এবং বাসিত আলি দু’জনই। এমনকি ইনজামামের সতীর্থ এবং বন্ধু মোহাম্মদ ইউসুফও তাকে সমর্থন জানিয়েছেন এ ইস্যুতে।
এক ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, এ নিয়ে ইনজামাম পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির কাছে গিয়েছেন এবং তাকে অনুরোধ করেছেন, যদি এ বিষয়ে তাকে অপরাধি হিসেবে পাওয়া যায়, তাহলে তাকে যেন বহিস্কার করা হয়। এমনকি এটাও জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (আজ) পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আরও একবার দেখা করার কথা রয়েছে ইনজির।
টুইটারেও ইনজামাম জবাব দিয়েছেন এই অভিযোগের। তিনি লিখেন, ‘আমি খুব শক্তভাবেই এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিচ্ছি। এটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কোনো রেকর্ডই নেই যে, কেউ জুনিয়র দল নির্বাচনে কারও ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ নেই এবং এটা সত্যও নয়। আমি বিষয়টাকে খুব ভালোভাবে নিয়েছি। শুধু তাই নয়, পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে তদন্ত করার জন্য আবেদন জানাবো।’
বাসিত আলিও একইভাবে নিজের বক্তব্য লিখেছেন। তিনি লিখেন, ‘আমিও পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানাবো এ বিষয়টা তদন্ত করে দেখার জন্য। কারণ, এ ধরনের নিউজ এবং কথা-বার্তা প্রচার করে কিছু মানুষ শুধু শুধু ঝামেলা তৈরি করতে চায় এবং অনেকের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে চায়।’