জিতলেই সেমিফাইনাল, ড্র হলেও চলবে এমন সমীকরণ নিয়ে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হারের যন্ত্রণা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন জামাল-মামুনুলরা। আর এই হারে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপথেকেই বিদায় নিল বাংলাদেশ।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ সুজুকি কাপ-২০১৮ এর গ্রুপ পর্বে নিজেদের ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেপাল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে গোল করে নেপালকে এগিয়ে দেন বিমল মাগার। এখানে অবশ্য বিমলের কৃতিত্বের সঙ্গে বাজে ভুল করে বসেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক শহীদুল আলম। বিমলের লম্বা শটটি তিনি ধরেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। শহীদুলের দু’হাত ছুঁয়ে বল চলে যায় জালের ভেতর। আর ম্যাচের ৯০ মিনিটে বাংলাদেশের দর্শকদের স্তব্ধ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেপালের নবযুগ শ্রেষ্ঠ।
ম্যাচে এলোমেলো আক্রমণের খেসারত গুনেছে বাংলাদেশ। একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তপু-জনিরা। ১৬ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার পাস থেকে বল পেয়ে মাহবুবুর রহমান নেপালের গোলমুখে শট নিলেও ডি-বক্সেই তা প্রতিহত হয়। ২৭ মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের শট নেপালের গোলবার পেরিয়ে গেলে ফের গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে মামুনুলের পাস থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে বল পেয়েও গোল করতে পারেননি টুটুল বাদশা। এরপর শুধুই বাংলাদেশের গোল মিসের মহড়া।
সাখাওয়াত হোসেন রনি একাই তিনবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ৭০ মিনিটে নেপালের ডি-বক্সের মাঝখান থেকে নেওয়া সাখাওয়াতের শট গোলবার পেরিয়ে যায়। ৭৮ মিনিটে আবারও রনির হেড, এবারও ফল একই। তৃতীয় গোল চেষ্টাতেও রনির নাম। এবার তার জোরালো শট নেপালের গোলবারের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে ঠাই নেয়।
এমন সব মিসের গল্প লিখেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিলো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশকে হারিয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেমিফাইনালে পা দিয়েছে নেপাল। অপরদিকে দিনের প্রথম খেলায় ভুটানকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে পাকিস্তান।