মাত্র পাঁচ মিনিটে ৫০০ টাকায় রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসার শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক। আগামী এক বছরের মধ্যে মানুষ এই প্রযুক্তির সুফল পাবে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সুসংবাদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) মাধ্যমে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে গবেষণায় ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধিকতর গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করছে।
তিনি বলেন, হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর আওতায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে একদল গবেষক নন-লিনিয়ার অপটিক্স গবেষণায় ক্যানসার শনাক্তকরণের সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ‘নন-লিনিয়ার অপটিক্স ব্যবহার করে বায়োমার্কার নির্ণয়’ শীর্ষক প্রকল্পটি হেকেপের আওতায় গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নন-লিনিয়ার বায়ো-অপটিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হয়। এই ল্যাবরেটরিতে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের রক্তের সিরামে শক্তিশালী লেজার রশ্মি পাঠিয়ে নন-লিনিয়ার সূচক পরিমাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। বায়ো-কেমিক্যাল প্রক্রিয়ায় যে বাড়তি রিএজেন্ট ব্যবহার করতে হয় উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতিতে তা প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে নতুন একটি পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য ক্যানসারের ভবিষ্যতবাণী করার একটি সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই উদ্ভাবনী প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে শুধু ক্যানসার রোগাক্রান্ত রোগীদের রক্ত নয়, অন্য যেকোন স্যাম্পলের নন-লিনিয়ার ধর্ম খুবই সহজে সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হবে।
উদ্ভাবন সম্পর্কে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা গবেষণা দলের প্রধান ড. ইয়াসমিন হক। সংবাদ সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিশ্ব ব্যাংকের চিফ অপরেশনস অফিসার ড. মোখলেছুর রহমান এবং হেকেপ প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ