Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

teknaf-rohingya-campকক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুলস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে গেছে ২৮টি ঘর। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কেও কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া। পুড়ে যাওয়া ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বস্তির নিকটবর্তী এলাকা থেকেই সোমবার সকালে গলাকাটা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রোহিঙ্গা তিন যুবককে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

ওসি রনজিত বড়ুয়া জানান, টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তি থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গা বস্তির ১৪টি ঘরে আগুন লাগে। এখানে প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ ও এক কক্ষে একটি করে পরিবার বাস করতেন।

chardike-ad

বাঁশ, চট এবং পলিথিনে গড়া ঘরগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগোয়াভাবে তৈরি করায় মুহূর্তে সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে গেছে। ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে সব ভস্মীভূত হয়ে যায় বলে স্থানীয় রোহিঙ্গারা জানান।

ওসি আরো জানান, খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন আগুনে ঘর পুড়লেও কেউ হতাহত হননি।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তিতে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভোলান্টিয়ার মো. আবু ইয়াছেরকে (২২) গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনার তিন দিনের মাথায় লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পের অনতিদূরে চাকমারকূল পাহাড়ি এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিকটবর্তী এলাকা থেকে গলা কাটা জখম অবস্থায় রোহিঙ্গা তিন যুবককে ৩ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে টেকনাফ থানা পুলিশ।

এ সব ঘটনার রেশ না কাটতেই সেই পাহাড়ি রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ধারাবাহিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ