দেশে ডিজিটাল উপায়ে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। নতুন পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য কাগজের ফরম পূরণ করার প্রয়োজন পড়বে না। সিম বিক্রেতারা ডিজিটাল উপায়ে সিম ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করে রাখবেন।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, এ পদ্ধতিতে গ্রাহকের জন্য সিম নিবন্ধন সহজ হয়ে যাচ্ছে। সিম কেনার জন্য আর ছবি বা বাড়তি কাগজ লাগবে না। তবে চারটি বিষয় গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে। চারটি বিষয় হচ্ছে এনআইডি নম্বর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জন্মতারিখ ও বর্তমান ঠিকানা।
মোবাইল অপারেটররা বলছে, সঠিক তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র রাখলে গ্রাহকের জন্য সুবিধা হবে।
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারা দেশে ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে তারা। মোবাইল ব্যবহারকারীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে সিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের কাগজ ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আরও সহজে ও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘বাংলালিংক সরকারের ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এই উদ্যোগ মোবাইল গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আরও সহজ করবে ও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেহেতু এই উদ্যোগের ফলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার প্রয়োজন হবে না, সেহেতু এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবেশবান্ধব উদ্যোগও বটে।’
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিটিআরসির নির্দেশনা অনুসারে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করেছে তারা। আজ ৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এ পদ্ধতিতে গ্রাহকের সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই মোবাইল অপারেটরদের পক্ষ থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিম বিক্রির জন্য বিষয়টি বিটিআরসিকে জানানো হচ্ছিল।
গত ২৮ আগস্ট বিটিআরসি থেকে টেলিকম অপারেটরদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়, সুষ্ঠুভাবে গ্রাহক পরিচয় নিবন্ধনের জন্য মোবাইল অপারেটরদের সার্চ করার সুবিধাযুক্ত ইলেকট্রনিক টেলিকম সাবসক্রাইবার অ্যাকুজিশন ফরমে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাগজের ফরম থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করার কথা বলা হয়।
সূত্র- প্রথম আলো