ইতালি প্রবাসি বাংলাদেশিদের ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসা নিয়ে ফের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাসের নির্বাচিত এজেন্সি ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা নিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেন, পাসপোর্টসহ কাগজপত্র জমা দেয়ার পর বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু ভিসার কোনো খবর নেই। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ভিসা দেয়ার নামে এজেন্সি ফাইল আটকিয়ে সময়ক্ষেপণ করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে।
তারা অভিযোগ করেন অফিসের ফোনে অথবা সরাসরি যোগাযোগ করা হলে ভিএফএস গ্লোবাল অফিস বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। কর্মকর্তারা ‘কাজ চলতেছে অথবা ইতালি দূতাবাস ভিসা দিতে বিলম্ব করছে, আপনারা সেখানে যোগাযোগ করেন। আমাদের কোনো হাত নেই’ এই বলে বিদায় করে দেয়।
১০ মাস থেকে শুরু করে ২০ মাস হয়ে গেছে এরকম অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন তাদের ভিসা পাওয়ার কোনো খবর নেই। কেউ কেউ আবার পরে কাগজপত্র জমা দিয়েও দালালকে টাকা দিয়ে আগে ভিসা পেয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাসির নামে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ৬ মাসের বেশি হয়েছে স্ত্রী ও ছোট মেয়ের জন্য সঠিক নিয়ম মেনে আবেদন করেছি। এখনও কোনো খবর নেই। আমি ও আমার স্ত্রী একাধিকবার ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ বলেন অনলাইনে চেক করেন, কাজ চলতেছে। অথবা ইতালি দূতাবাসে গিয়ে যোগাযোগ করেন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে ২১ দিনের মধ্যে ভিসা হওয়ার কথা। এরমধ্যে কাগজপত্রে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা আমাকে জানালে সংশোধন করা সম্ভব। কারণ ইতালিতে আমি স্পন্সরে এসেছি। তাছাড়া যে মালিক আমাকে স্পন্সর করেছেন তার অধীনেই এখনও কাজ করছি। তাহলে সমস্যা কোথায় ভিসা দিতে? ভিসা বিলম্ব হওয়ায় পারিবারিকভাবে মানসিক সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে। ফলে পারিবারিক বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে এর দায়দায়িত্ব ভিএফএস গ্লোবাল এজেন্সিকেই নিতে হবে।
জাকির হোসেন সুমন নামে একটি জাতীয় দৈনিকের ইতালি প্রতিনিধি বলেন, স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবার ফ্যামিলি রিইউনিয়ন ভিসার জন্য প্রায় আড়াই বছর আগে আবেদন করেছি। এখনও কোনো খবর নেই। কী সমস্যা তাও জানি না। ভিসার অপেক্ষা করতে করতে আমার স্ত্রী দেশেই সন্তান জন্ম দিয়েছে। এখন মেয়ের জন্য নতুন করে স্থানীয় অভিবাসী অফিসের অনুমতি পত্র (নুলাআস্তা) নিতে হবে। সেটা ভিএফএস গ্লোবাল এজেন্সিতে পাঠাতে হবে। বাবা ও স্ত্রীর ভিসা আড়াই বছরেও পাইনি, এখন মেয়ের ভিসা পেতে আরও কত বছর লাগে কে জানে?
সৌজন্যে- জাগো নিউজ