ঢাকার মাটি স্পর্শ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। রোববার বিকাল ৫টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনারটি দেশে এসে পৌঁছে।
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ ড্রিমলাইনারটি। ৫৬ ফুট উচ্চতার, ওজনে হালকা, জ্বালানি সাশ্রয়ী এ বিমানটি টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে।
বিমানটি দেশে আনতে গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে যান।
বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশের মাটিতে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে বিমানটিকে স্বাগত জানান।
তিনি আরো জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাবে বিমানটি। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতিমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি উড়োজাহাজই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি আজ দেশে এলো। দ্বিতীয়টি এ বছর নভেম্বর এবং সর্বশেষ দুটি ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো-আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
এর মধ্যে আজ বিমানবহরে যুক্ত হলো যাওয়া ড্রিমলাইনার আকাশবীণা। আকাশবীণায় আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধা পাবেন।
সৌজন্যে- রাইজিংবিডি