Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

indonesia-earthquakeআবারো শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপ। রোববারের এই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল পূর্ব লম্বকের বেলান্টিং শহরের পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় সাত কিলোমিটার গভীরে।

chardike-ad

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, পূর্ব লম্বকে প্রচণ্ডমাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। পূর্ব লম্বকের বাসিন্দগা অগাস সেলিম বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, উদ্ধারকৃতদের ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য আমি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় বিদ্যুতের পিলার প্রচণ্ডভাবে দুলতে থাকে। তখন আমি বুঝতে পারি, এটি ভূমিকম্প। তিনি বলেন, ‘লোকজন চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করে। তারা সবাই রাস্তায় বেরিয়ে আসে।’

earthquake-indonesiaরোববারের এই শক্তিশালী কম্পন লম্বকের মাতারাম এবং পার্শ্ববর্তী বালি দ্বীপেও অনুবূত হয়েছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট লম্বকে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আগাত হানে। এতে ৪৬০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়।

হাজার দ্বীপের সমন্বয়ে ইন্দোনেশিয়া গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিং অব ফায়ারে অবস্থিত এই দেশ; যেখানে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ ও বিশ্বে অাগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের অনেকগুলোই হয় এই প্লেটে। ফলে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

২০০৪ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলীয় অঞ্চলে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হানে। এতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ।