টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি, ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষভাগে হোঁচট খাওয়া। আর এবার ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে লজ্জার রেকর্ড গড়েই শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে গলে নিজেদের প্রত্যাবর্তনের পর সর্বনিম্ন ৭৩ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছিল সফরকারীরা। হোয়াইট হয়েছিল দুই ম্যাচের সিরিজে। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলেও শেষ দুই ম্যাচে নাস্তানাবুদ হয় স্বাগতিকদের কাছে।
মঙ্গলবার সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৯৮ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড গড়েছে তারা। জমে ওঠা ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজ হারলেও সবমিলিয়ে এগিয়ে ছিলো স্বাগতিকরাই।
কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণি জালে ধরা পড়তে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও তিনে নামা রেজা হেনড্রিকস প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়লেও পরে আর দাঁড়াতে পারেননি কেউ।
স্বাগতিকদের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি চায়নাম্যান লাকশান সান্দাকান। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন দুই অফস্পিনার আকিলা দনাঞ্জয়া ও ধনঞ্জয় ডি সিলভা। এছাড়া ইশুরু উদানা ও কাসুন রাজিথা নেন ১টি করে উইকেট। মাত্র ১৬.৪ ওভারে ৯৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ডি কক। এছাড়া হেনড্রিকস ১৯, হেনরিখ ক্লাসেন ১৮, ডেভিড মিলার ১৪ ও জুনিয়র ডালার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১২ রান। রানের খাতা খুলতেই ব্যর্থ হন হাশিম আমলাসহ ৪ ব্যাটসম্যান।
রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কানরাও। তবে ধনঞ্জয় ডি সিলভা ও দিনেশ চান্দিমালের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষপর্যন্ত জয় পায় তাড়া। এতে ব্যয় হয় ১৬ ওভার, সাজঘরে ফেরেন ৭ ব্যাটসম্যান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন চান্দিমাল। ৩৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে এই রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ধনঞ্জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। পাশাপাশি বল হাতে ২ উইকেট নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরষ্কারও যায় তার হাতে।