গত বছরের ডিসেম্বরে সি-প্লেনে করে সবরমতি নদীতে এসে চমকে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার মধ্যেও এসে যাচ্ছে সি প্লেন। বেসামরিক বিমান পরিবরহণ মন্ত্রণালয় ভারতে ওয়াটার-এয়ারড্রোম তৈরির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওড়িষ্যার চিল্কা হ্রদ, গুজরাটের সবরমতি নদী ও সর্দার সরোবর বাঁধকে বেছে নেওয়া হয়েছে ওয়াটার-এয়ারড্রোম স্থাপনের জন্য।
গত শুক্রবার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। ডিজিসিএ-এর মহাপরিচালক গত জুনে ওয়াটার এয়ারড্রোম স্থাপনের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী ও প্রক্রিয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
শুক্রবার এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর মনে করা হচ্ছে দেশে উভচর বিমান অর্থাৎ জল ও স্থল দু’জায়গাতেই নামতে পারে এমন বিমান চলাচল সুরু হওয়াটা কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে ওয়াটার-এয়ারড্রোমগুলো স্থাপন করা হবে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল ও ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, ওয়াটার-এয়ারড্রোম স্থাপন করতে গেলে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পরিবেশ ও বন এবং জাহাজ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র লাগবে। তবে এরপরেও লাইসেন্স দেওয়া হবে দু’বছরের জন্য। প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের প্রভিশনাল লাইসেন্স দেওয়া হবে। ওই ৬ মাস দেখা হবে সব শর্ত ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কিনা, তারপর নিয়মিত লাইসেন্স দেওয়া হবে।
গত অক্টোবরে স্পাইসজেট সংস্থা জানিয়েছিল, তারা ৪শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ১শ উভচর বিমান কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ব্যাপারে জাপানের সেতৌচি হোল্ডিংস নামে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে তারা। ইতোমধ্যেই চিল্কা হ্রদে উভচর বিমান চালানোর জন্য ওড়িষ্যা সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।