দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্রি হওয়া আরো দুটি বিএমডব্লিউর গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত জার্মানির বিলাসবহুল এ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটির মোট ৩৬টি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৭০০টি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএমডব্লিউ। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩১৭, জার্মানি থেকে ৯৬ হাজার ৩০০, ব্রিটেন থেকে ৭৫ হাজার, ফ্রান্স থেকে ২৩ হাজার ৫০০ ও ইতালি থেকে ২৪ হাজার গাড়ি প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র।
গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোম্পানিটি ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছে, এগজস্ট গ্যাস রিসার্কুলেশন (ইজিআর) অথবা ডিজেল ইঞ্জিনে নাইট্রোজেন অক্সাইড কমানোর জন্য যেসব উপকরণ ব্যবহার হয়, সেগুলো গাড়িতে আগুন লাগার প্রধান কারণ।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী সিউলের দক্ষিণে উইওয়াং শহরের মহাসড়কে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিএমডব্লিউ ৩২০ডি মডেলের একটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। গাড়ির চালক জানিয়েছেন, গাড়ি চালানোর সময় কোনো আঘাত ছাড়াই হঠাৎ গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তবে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এর আগে সেশিয়ন শহরের মহাসড়কে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে বিএমডব্লিউ ৭৩০এলডি মডেলের আরেকটি গাড়িতে আগুন ধরার ঘটনা ঘটে। কোনো আঘাত ছাড়াই এ গাড়িতেও আগুন ধরে বলে অভিযোগ করেছেন গাড়ির চালক।
২৬ জুলাই জার্মানভিত্তিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ার বাজার থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩১৭টি গাড়ি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে যেসব মডেলের গাড়িতে আগুন লাগার খবর আসছে, সে গাড়িগুলো প্রত্যাহারের তালিকায় নেই।
এদিকে বিএমডব্লিউর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণকারী গাড়ির মালিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বুধবার দেশটির ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কিম হিউন-মি বলেছেন, যেসব বিএমডব্লিউ গাড়িতে আগুন ধরার ঘটনা ঘটছে, সেগুলো না চালানোর জন্য গাড়ির মালিকদের নির্দেশ দেয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্রঃ বণিকবার্তা।