জিততে প্রয়োজন ৩২ ওভার থেকে ১০৫ রান, হাতে রয়েছে ৯টি উইকেট। যে কেউ চোখ বুজে বাজিটা ধরবেন ব্যাটিং দলের পক্ষেই। কিন্তু সেই ব্যাটিং দলের অভিজ্ঞতার ঝুলি যখন একদম ফাঁকা তখন নিশ্চিত বাজিটাও হেরে যেতে হয়।
বুধবার তেমনই নজির স্থাপন করলো নিজেদের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা নেপাল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভালো খেলার সুবাদে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া নেপাল নিজেদের অভিষেক ওয়ানডেতে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে।
পরাজয়ের এই ব্যবধান দেখে মনে হতেই পারে যে হয়তো নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি নেপাল। কিন্তু এমন ধারণা করাটা হবে ভুল। বোলারদের নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের মাত্র ১৮৯ রানেই থামিয়ে দিয়েছিল নেপাল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার কারণে অভিষেক ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি হিমালয়ের দেশটি।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপঅর্ডারের দৃঢ়তায় মাত্র ১৮ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান তুলে ফেলেছিল নেপাল। সেখান থেকেই শুরু ছন্দপতন। পরের ২৩.৫ ওভারে মাত্র ৪৯ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে বাকি ৯টি উইকেট। নেপালের ৫৫ রানের পরাজয়ে শেষ হয় ম্যাচ।
অভিষেক ওয়ানডেতে ফিফটি করে ব্যক্তিগতভাবে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রেখেছেন নেপালের ওপেনার জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। এছাড়া দিপেন্দ্র আইরি ৩৩, অনিল শাহ ২১ ও অধিনায়ক পরশ খাড়কার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। বাকি আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ৪ ব্যাটসম্যান ফিরেছেন শূন্য রানে। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ফ্রেড ক্লাসেন, মাইকেল রিপন ও পিটার সিলার। অন্য উইকেট নেন বাস ডে লিডে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মাইকেল রিপনের ফিফটিতে ৪৭.৪ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। রিপন করেন ৫১ রান। বাস ডে লিডে ৩০ ও স্টেফান মাইবার্গ করেন ২৯ রান। নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন পরশ খাড়কা। ৩টি উইকেট নেন সোম্পাল কামি।