কোরিয়াজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। গত বুধবার দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সিউলে এদিন ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সিউলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। টানা প্রচণ্ড গরমে কোরিয়ার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তীব্র দাবদাহে এরই মধ্যে ২৯ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ৪০০ জন তাপ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। ৩ লাখ ১৪ হাজার পশু মারা গেছে যার মধ্যে মুরগী ২৯ লাখ ৫৪ হাজার এবং হাঁস ১ লাখ ৫৬ হাজার। গত মে মাসের ২০ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত হিসেবে এই পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে।
প্রচণ্ড তাপ থেকে রক্ষা পেতে বেশিরভাগ মানুষ বাসা এবং অফিসের বাইরে বের হচ্ছেন না। ছুটির দিনগুলোতে সমুদ্রে ভিড় জমাচ্ছেন। দেশটির আবহাওয়া অফিসের দেওয়া খবর অনুযায়ী আগামী সপ্তাহেও এই গরম আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এ দাবদাহকে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে আখ্যা করেছেন। আবহাওয়ার প্রভাব মোকাবেলায় সরকার শহর ও প্রাদেশিক প্রশাসনগুলোর জন্য ৬০০ কোটি উওন (৫৩ লাখ ডলার) বরাদ্দ দিয়েছে।
গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিউলের মেয়র পার্ক উওন সুন তার নিজের সুবিশাল আনুষ্ঠানিক আবাসস্থল ছেড়ে সিউলে একটি ভিলার ছাদের উপরের এপার্টমেন্টে উঠেছেন। এইসব ভিলাতে নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে। তার এ পদক্ষেপের অনেকেই প্রশংসা করলে অনেকেই রাজনৈতিক উচ্চবিসালিতা বলে সমালোচনা করেছেন।