বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পুরোপুরি জড়িত ছিলেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুঃখ একটাই যে, তার বিচারটা আমি করতে পারলাম না।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে বুধবার কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই এ কারণে যে তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। খুনিদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে পেরেছি।
কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কৃষক লীগের মুখপাত্র ‘কৃষক কণ্ঠ’র মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি কর্মসূচি ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে আমি হারিয়েছি আমার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু জাতি হারিয়েছে দেশের অভিভাবককে। শেখ মুজিব আজ বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হত। জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো তার অপরাধ কি ছিল? তার অপরাধ ছিল তিনি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। দেশের মানুষকে শোষিতদের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা ঘটনা চক্রে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করতেন না সেসব কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল মুজিব না থাকলে এ দেশ আবার পাকিস্তানিদের করায়ত্ত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ১৫ আগস্টের খুনি তারা প্রতিনিয়ত আমাদের বাসায় যাতায়াত করতো। বাবার কাছ থেকে নানা সুবিধা নিত। এরপরও তারা বেইমানিটা করেছে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করেনি। এ হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে।