আগামী ১৪ আগস্টের আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান। শনিবার দলের নেতা নাইম উল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, দুদিন পর শনিবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন দেশটির ১১তম জাতীয় নির্বাচনের পূর্নাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, পিটিআই ১১৫টি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ৬৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪৩টি আসন পেয়েছে।
নির্বাচনে ১৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছে। এছাড়া মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল (এমএমএ) ১২টি, মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ৬টি, পিএমএল-কিউ এবং নতুন দল বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) ৪টি করে আসন পেয়েছে। ছোট দলগুলোর মধ্যে জিডিএ ২টি এবং এএনপি ১টি করে আসনে পেয়েছে। আর কেন্দ্রে হামলার কারণে দুটি আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
নির্বাচনে পিটিআই একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজয়ী হলেও সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার গঠনের জন্য দলটির ১৩৭টি আসন প্রয়োজন। জোট সরকার গঠনের জন্য ইমরান খান শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্টকে জোটে আমন্ত্রণ জানাতে টেলিফোনে কথা বলেছেন পিটিআই নেতা।
পিটিআইয়ের নাইম উল হক শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং আজ অথবা কাল জাতি ভালো সংবাদ শুনতে পাবে।’