Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mud-festivalবর্ষার দিনে কাদা পানি থেকে গা বাঁচাতেই সবাই তৎপর থাকে। তবে দক্ষিণ কোরীয়দের ক্ষেত্রে এ চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের কাছে এটা যেন মহা আনন্দের এক উপলক্ষ। সম্প্রতি দেশটিতে আয়োজিত ‘বার্ষিক কাদা উৎসবে’ মনের আনন্দে কাঁদা মাখামাখি করেন কয়েক লাখ মানুষ। যে যেভাবে পারছেন একে অন্যের দিকে কাঁদাপানি ছুড়ছেন। তবে রাগ বা ক্ষোভ থেকে নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক কাদামাটি মাখা উৎসবে এ কাঁদাপানি ছোঁড়াছুঁড়ি।

প্রতি বছরের মত এবারও উপকূলবর্তী বোরিইয়ং শহরে ঘটা করে কাঁদা মাখতে জড়ো হন লাখ লাখ মানুষ। পরিচ্ছন্ন পোশাকে উপস্থিত হলেও, উৎসবে একে অপরের দিকে কাদা ছুঁড়ে কিংবা কর্দমাক্ত পানিতে গোসল করে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন অংশগ্রহণকারীরা। অংশ নেন আলাদা ৩টি ইভেন্টে।

chardike-ad

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘আমরা খুবই মজা করছি। এটা সেরা উৎসব। এই উৎসব সত্যিই দারুণ। বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি, খুব মজা করছি। আর আমি শুনেছি মাটি ত্বকের জন্যও খুব ভালো।’

mud-festival-কেবল দক্ষিণ কোরীয়দের কাছেই নয় ব্যতিক্রমী এ উৎসবের আবেদন দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের কাছেও। এ বছর এ উৎসব উপভোগ করতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শহরে জড়ো হন ৬ লাখের বেশি পর্যটক।

পর্যটকরা জানান, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছি। এই প্রথম আমি এখানে অংশ নিয়েছি এবং এটা আমার দেখা সেরা উৎসব। কোরিয়ায় আসলে যে কাউকে এই কাদামাটি মাখা উৎসবে আসতে হবে। সময়টা দারুণ উপভোগ করতে পারবেন।’

আয়োজকরা জানান, কেবল আনন্দ নয়, শরীর এবং আত্মার শুদ্ধতার জন্যই এভাবে কাঁদাপানিতে গোসল করা হয়।

বোরিইয়ং শহরের মেয়র কিম ডং-ইল বলেন, ‘বোরিইয়ং শহর মাটির প্রতিনিধিত্ব করে, আর মাটি বোরিইয়ং শহরকে প্রতিনিধিত্ব করে। এ উৎসব দিন দিন বিশ্ববাসির কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দৈনন্দিন জীবনের মানষিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব ভালো একটি উপায়ও এটি।’

দক্ষিণ কোরিয়া বোরিইয়ং শহরে ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতি বছর এ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর ২১তম বার অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক এই কাদামাটি মাখা উৎসব।