১৫ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে এক নারী শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই নারী শিক্ষক এবং ছাত্র। সোমবার অভিযান চালিয়ে ২৯ বছর বয়সী ওই নারী শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের ফতেহাবাদে। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের পরিদর্শক সুরেন্দ্রর কুমার বলেছেন, বিচারবিভাগীয় অাদালত ওই নারী শিক্ষককে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ১৫ বছরের ওই ছাত্রকে নিয়ে গত শুক্রবার থেকে পলাতক ছিলেন নারী শিক্ষক। পরে স্কুলের অধ্যাপকের কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি উভয়ের পরিবারকে ডাকেন।
এ ঘটনার পর ওই ছাত্রের বাবা খুনের উদ্দেশে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফতেহাবাদ সিটি পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করেন। প্রলোভন দেখিয়ে ও চাপ্রয়োগ করে তার ছেলেকে ওই নারী শিক্ষক নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রের সঙ্গে নারী শিক্ষক প্রায়ই যোগাযোগ করতেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে দু’জন মোবাইল নম্বরও বিনিময় করেছে।
পুলিশ পরিদর্শক সুরেন্দ্রর কুমার বলেন, আমরা তদন্তে জানতে পেয়েছি যে, ওই ছাত্র ও নারী শিক্ষক বেশ কয়েকবার মোবাইলে ফোনে কথা বলেছেন। শুক্রবার বাড়িতে মোবাইল ফোন রেখে চলে যান নারী শিক্ষক। সোমবার সকালে ফতেহাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিচারকের সামনে ছাত্রকে তোলা হলে সেখানে বিস্তারিত তথ্য জানায় সে।
অভিযুক্ত ওই নারী শিক্ষক ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য স্বীকার করেছেন। ওই ছাত্রকে হরিয়ানার হিসার থেকে সঙ্গে নেয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের কাটরা এলাকায় যান তিনি। এছাড়া ছাত্রের সর্বশেষ অবস্থান কাটরা এলাকায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে ছাত্রের সঙ্গে জোরপূর্বক কোনো শারীরিক সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন ওই নারী শিক্ষক। পুলিশ পরিদর্শক সুরেন্দ্রর কুমার বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি। এছাড়া তাদের মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়নি। গ্রেফতারের পরপরই ওই নারী শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হয়।’
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।