খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শুক্রবার (২০ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে এক নম্বর শর্ত হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, আপনারা সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করবেন না। কারণ আপনারা জানেন যে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে আপনাদের পরাজয় হবে। সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০টির বেশি আসন পাবে না।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন করতে হবে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, রাজনীতি করছেন আপনারা, রাজনৈতিক কারণে তাকে আটক রেখেছেন। কারণ আপনারা তাকে ভয় পান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকারের ছলচাতুরী ভালো করে জানে। বিচার বিভাগ, আর্থিক খাতসহ প্রত্যেক জায়গায় নৈরাজ্য চলছে। মাদক বিরোধী অভিযানে সরকার পাখির মতো মানুষ হত্যা করছে। নকল সোনা দিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করছে। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই।
ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, এমপি মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য পরিবর্তন চাই। আমরা অধিকার ফিরে পেতে চাই। স্বাধীনতা ফিরে পেতে চাই। আমরা নির্ভয়ে চলার অধিকার ফিরে পেতে চাই।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ এখন ভয়ে আছে। তারা জানে না যে কখন গুম হয়ে যায়। কোটা আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, নির্যাতন করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আজকে ছাত্রলীগের যে ভূমিকা তা আইয়ুব খানের শাসনামলের চেয়েও ভয়বাহ।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।