হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসের দোতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘণ্টা খানেক সময়ের মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
রবিবার বিকাল ৫টা ৫৮ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে উপস্থিত যাত্রী ও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে এ সময় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে আবার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে হঠাৎ করে ১ নম্বর টার্মিনালের ইমিগ্রেশন অফিসের সিলিংয়ের ক্যাবল থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। দ্রুত এ ধোঁয়া বিমানবন্দরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ৫টা ৫৮ মিনিটে প্রথমে ৪টি ও পর্যাক্রয়ে ৭টি ইউনিট বিমানবন্দরে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কোনো আগুন (ফ্লেইম) দেখতে পাননি, কিন্তু ধোঁয়া দেখেছেন।
বিমানবন্দরে এপিবিএন এর দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ইমিগ্রেশনের পাশের কয়েকটি কক্ষে প্রচুর ধোঁয়া দেখা গেছে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান বলেন, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু ধোঁয়া দেখতে পেয়েছে। কোন ধরনের আগুনের শিখা দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে বিমানবন্দরের সিলিংয়ের ওপরে অনেক ধরনের ক্যাবল আছে, এর কোনো একটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আমরা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছি। বর্তমানে বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের ফায়ার স্টেশন রিভাইজড করার জন্য সেখানে ইলেকট্রিক্যাল অডিট ও ফায়ার সেফটি অডিট করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, এটা আগুন ছিল না। এটা ছিল ধোঁয়া, যা খুব দ্রুত টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ধারণা করছি এটা এসির ধোঁয়া হতে পারে। সাবধানতার জন্য কিছুক্ষণের জন্য বিমানবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল, আমরা যাত্রীদেরও টার্মিনালের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে দেই।
সৌজন্যে- ইত্তেফাক