দু’বছর আগে সোলে (সিউলে) গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু গত দু’বছরে নিরাপত্তা ও কৌশলগতক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক অগ্রগতি সেই তিমিরেই। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন-এর চলতি ভারত সফরেও শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিনিময়েরই ছবি দেখা যাচ্ছে।
আজ কিছুটা মরিয়া হয়েই দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন মোদী। হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘‘কোরিয়ার উপদ্বীপ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শান্তি এবং সুস্থিতির বিষয়টি যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা মুন-কে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শাংগ্রিলা বৈঠকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সব দেশের সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ দক্ষিণ কোরিয়াকে সে কথা জানানো হয়েছে।’’
যে ১১টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তাক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, চিন-নির্ভরতার কারণেই সমুদ্রপথে বেজিং-এর একচ্ছত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না সোল। সমুদ্রপথের যুদ্ধে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানকে পাশে পেলেও ‘বিশেষ কৌশলগত মিত্র’ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা হয়নি নয়াদিল্লির। শুধু তাই-ই নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণেরও প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাক আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নিয়েও বিরোধী অবস্থান নেয়নি তারা।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নিরাপত্তার সঙ্গে সমৃদ্ধি সংযুক্ত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নৌ চলাচলের স্বাধীনতায় জোর দিতে চাই। আন্তর্জাতিক আইন মেনে দেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে সব রকম শান্তি উদ্যোগকে সমর্থন করি।’’ সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে আফগানিস্তানে যৌথভাবে কাজ করা, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় সামিল হওয়া, এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলিও রাখা হয়েছে বিবৃতিতে।
আনন্দবাজারের সৌজন্যে।