Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

5gপঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা ফাইভ জি’র পরীক্ষা হবে ২৫ জুলাই। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে এ পরীক্ষা চালাবে। এ ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও টেলিটক। ওই একই দিন একই ভেন্যুতে ‘বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিট’-এর আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে ফাইভ জি’র পরীক্ষা চালাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন-বিটিআরসি হুয়াওয়েকে এক সপ্তাহের জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছে। বিটিআরসি’র সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। হুওয়ায়ে অবশ্য তিন মাসের জন্য স্পেকট্রামের আবেদন করেছিল।

chardike-ad

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এ জন্য প্রস্তুতি চলছে জোরেশােরে। চীন থেকে হুয়াওয়ে প্রযুক্তি আনার অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে। এর আগে গত মাসের শেষ দিকে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের এক আলোচনায় টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম ফাইভ জি’র পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেন। বিভিন্ন উন্নত দেশে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি চলছে। চলতি বছরের শেষের দিকে অনেক বড় শহরে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হবে।

তবে বাংলাদেশের বাজার এখনও ফাইভ জি প্রযুক্তি ব্যবহারের পর্যায়ে যায়নি বলে মনে করেন টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি সেবা ব্যবহারে আরও অন্তত চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ফোরজি’র ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখনও অনেক শহরে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়নি। আর সব মিলে মাত্র ৪০ লাখের মতো সিম ফোরজিতে রূপান্তর কিংবা নতুন করে যুক্ত হয়েছে। নিয়মিত ব্যবহারকারী আরও কম।

এর আগে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে থ্রিজি’র ব্যবহার শুরু হয়। নতুন নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণাতে হুয়াওয়ে ৬ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। হুয়াওয়ের পাশাপাশি টিম, টেলুস ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক সেবাদাতারাও ফাইভজি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর থেকেই কোয়ালকম, স্যামসাং ও ইন্টেল ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপযোগী ফোন নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছে।

পরবর্তী প্রজন্মের এই ওয়্যারলেস প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে অনেকখানিই পাল্টে দেবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালানো, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট সিটি ও নেটওয়ার্ক যুক্ত রোবট চালাতে ভূমিকা রাখবে ফাইভজি।এর বাইরেও অভাবনীয় কিছু কাজে ব্যবহার করা যাবে উচ্চ গতির এ ইন্টারনেট প্রযুক্তি।