cabin-crewএকজন যাত্রীসেবিকা বা বিমানবালা বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক কাজের মধ্যে একটি। এই সুন্দর নারীরা সবসময় শান্ত থাকেন এবং যে কোন পরিস্থিতিতে হাসেনআজ আমরা বিমানবালা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেব। তো চলুন শুরু করা যাক

১) অতীতে বিমানবালার জন্য শুধুমাত্র পুরুষদের নিযুক্ত করা হতো। পুরুষেরা প্রথম ফ্লাইট পরিচারক বা বিমানবালা ছিল। স্বাভাবিকভাবে একজন সাহসী নারীর কারণে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছিল- সেই সাহসী নারীর নাম অ্যালেন চার্চ, তিনি একজন নার্স ছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে একটি বিমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছিলেন এবং বোয়িং এয়ার ট্রানজিটের ফ্লাইট অ্যাডভেন্টর হিসাবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অন্য বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীদের আকৃষ্ট করার জন্য সেরা মার্কেটিং হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যদি অল্প বয়সী একটি মেয়ে উড়তে ভয় না পায় তাহলে অন্যরা তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে।

chardike-ad

২) অনেকেই মনে করেন যে, বিমানবালাদের কাজ হল খাবার পরিবেশন করা, বিমান পরিষ্কার রাখা এবং যাত্রীদের সেবা করা। কিন্তু বিমানবালাদের মূল কাজ বিমানের ক্যাপ্টেনের সহায়ক হওয়া যা জরুরী পরিস্থিতিতে সমাধান করতে পারা। প্রতি ঘন্টায় বিমানবালাদের সবকিছু ভালভাবে যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পাইলটের সাথে যোগাযোগ করতে হয়।

৩) বিমানের দরজা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বিমানবালাদের কোন পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। অনেক এয়ারলাইন্স বিমানবালাদের জন্য ঘন্টায় পারিশ্রমিক দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আকাশে কত ঘন্টা সময় অতিবাহিত করা হয়েছে সেই অনুযায়ী পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। তাই একটি ফ্লাইট যদি দেরি করে তাহলে সেটি ক্রুদের জন্য একটি খারাপ সংবাদ।

৪) অনেকেই বিমানে বসার পরই ঘুমিয়ে পড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু বিমানবালারা এটি না করার জন্য সুপারিশ করেন। অনেকেরই চাপের পরিবর্তনের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তারা প্রায়শই এই ধরণের মানুষদের সাহায্য করে থাকেন। বিমান উপরে উঠার আগে চুইংগাম চিবানো ভালো। বিমান টেকঅফের পর আপনি ঘুমিয়ে নিতে পারেন। যারা উড়তে ভয় পান তাদের জন্য বিমানবালারা বিশ্রাম নেয়ার একটি সুযোগ করে দেন।

৫) কিছু ব্যাখ্যাতীত কারণে, অধিকাংশ মানুষ মাংস হিসেবে মুরগির মাংস পছন্দ করেন। তাই বিমানের শেষের দিকের যাত্রীরা শুধুমাত্র মাছ পেয়ে থাকেন। যখন মুরগির মাংস শেষ হয়ে যায় তখন বিমানবালারা যাত্রীদের বলেন যে, মাছ তরকারিটি একজন বিশেষ শেফ রান্না করেছেন এবং সেটি শুধুমাত্র ফ্লাইটে পরিবেশন করা হয়। এইভাবে, মাছ তরকারি আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে।

৬) বিমানবালা আপনাকে যদি আপনার চেয়ার সোজা অবস্থানে রাখতে বলা হয় তাহলে তা অবিলম্বে করতে হবে। কেন? অসমতল অবতরণের সময় যাতে আপনার পিছনের যাত্রীর নাকের কোন ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য। আপনি যদি তাদের অনুরোধ অমান্য করেন তাহলে তারা আপনাকে বাধ্য করতে পারে।

৭) বিমানের পিছনের আসনগুলো তেমন নিরাপদ নয়। বিমানের এই অংশে সেবাটিও সবার থেকে ভালো। এটির কারণ খুবই সহজ, একজন যাত্রী বাড়তি সেবা পাওয়ার জন্য পিছনের আসনে পছন্দ করতে পারে। পিছনের যাত্রীরা একটি বালিশ বা একটি অতিরিক্ত কম্বল সবার প্রথম পেয়ে থাকে।

৮) বিমানের সব বিমানবালারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন- এমনকি তারা একটি শিশু ডেলিভারিও করতে পারেন! কিন্তু এই কাজটি তারা তখনই করতে পারবে যদি বোর্ডে কোন ডাক্তার না থাকে।