Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

englandটাইব্রেকারের শেষ শটটি নেয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন এরিক ডায়ার। গোল করতে পারলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে জয়লাভ করার ইতিহাস গড়বে ইংল্যান্ড। হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ইংল্যান্ড ফুটবলারদের। গোলরক্ষক কলম্বিয়ার ওসপানিয়া।

কিন্তু এবার আর বাধা হতে পারলেন না ওসপানিয়া। পঞ্চম শট থেকে পেনাল্টিতে গোল করে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম জয়টি এনে দেন এরিক ডায়ার। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানের জয়ে কোয়ার্টারে পা রাখলো ইংল্যান্ড। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন।

chardike-ad

একাদশে হামেস রদ্রিগেজ ছাড়া পুরো কলম্বিয়া দল যে ছন্নছাড়া সেটি আরও একবার বড় মঞ্চে ফুটে উঠলো। প্রথমে হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে ইয়ারি মিনার গোলে সমতায় ফেরে কলম্বিয়া। তারপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে।

এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৬ মিনিটে বা-পাশে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। এশলি ইয়াংয়ের নেয়া শট পাঞ্চ করেন ডেভিড ওসপানিয়া। ১৬ মিনিটে স্টারলিং-ট্রিপিয়েরের দারুণ বোঝাপড়ায় ডান পাশ থেকে ট্রিপিয়েরের বাড়ানো বলে হ্যারি কেইনের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১৯৯০ সালের পর কোয়ার্টার ফাইনাল পেরুতে না পারা ইংল্যান্ড বল নিজেদের দখলে রাখলেও পরিকল্পিত কোনো আক্রমণই আলোর মুখ দেখেনি কলম্বিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের সামনে। ৪১ মিনিটে আবারো ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। তবে এবার শট নেন ট্রিপিয়ের। কিন্তু এটিও আলোর মুখ দেখেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য থেকেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সন্ধানে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ৫৭ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হ্যারি কেইনকে ফাউল করলে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ষষ্ঠ গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় গোল।

গোল শোধে একের পর এক আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নামাতে থাকেন কলম্বিয়ান কোচ হোসে পেকারম্যান। সুফল পায় তারা। ম্যাচের এক পর্যায়ে পুরো মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে আক্রমণ বাড়াতে থাকে ফ্যালকাওর দল। ৮১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মোনাকোর এই স্ট্রাইকার। কিন্তু তার হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়।

৮৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্যালকাও দূরপাল্লার দুর্বল শট কেবল হতাশাই বাড়ায় কলম্বিয়ার। মাচের তখন ৯৩ মিনিট চলছে। রেফারির দেয়া অতিরিক্ত চার মিনিট শেষ হতে মাত্র এক মিনিট বাকি। তখনই কর্নার পায় কলম্বিয়া। ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে তখনও এগিয়ে ইংল্যান্ড। কোয়ার্টারের স্বপ্নবোনা ইংলিশদের হতাশ করে কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে কলম্বিয়াকে ১-১ সমতায় আনলেন ডিফেন্ডার ইয়ারি মানা। টুর্নামেন্ট তিনটি গোল করেছেন এই বার্সা তারকা। ম্যাচ গড়ায় তখন অতিরিক্ত সময়ে।

সেখানেও কোনো দল গোল করতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। সেখানে প্রথম তিনটি শট থেকেই গোল করেন কলম্বিয়ার ফুটবলাররা। কিন্তু হ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় শটটি নিতে এসে গোল করতে ব্যর্থ হন। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু উরিবে এবং বাক্কা পরপর দুটি পেনাল্টি মিস করে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। শেষ শট থেকে ডায়ার গোল করে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল যাত্রা নিশ্চিত করেন।