নাইজেরিয়ার সামনে ভালো সুযোগ ছিল। আর্জেন্টিনার সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ড্র করতে পারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেত সুপার ঈগলরা। ম্যাচের ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ১-১ সমতাও ছিল। এমন মুহূর্তে দুর্দান্ত এক গোল করে আফ্রিকান জায়ান্ট কিলারদের স্বপ্ন ভেঙে দেন মার্কাস রোহো।
খেলায় হার-জিত থাকেই। কেউ জিতবে, কাউকে বিদায় নিতে হবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নাইজেরিয়া তাদের বিদায়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বরং বড় দল বলে আর্জেন্টিনার হয়ে রেফারি কাজ করেছেন বলেই অভিযোগ তাদের তারকা ফরোয়ার্ড ভিক্টর মোসেসের।
নাইজেরিয়ার অভিযোগের আঙুল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে পাওয়া হ্যান্ডবলের দিকে। ম্যাচটি ১-১ সমতায় থাকার মুহূর্তে আর্জেন্টিনার বক্সের মধ্যে হাতে বল লেগে গিয়েছিল রোহোর। রেফারি সেটা ‘ভিএআর’ দিয়ে দ্বিতীয়বার দেখেন। রোহো অনিচ্ছাকৃতভাবে বলটি হাতে লাগানোয় সিদ্ধান্ত হয়, পেনাল্টি না দেয়ার।
হাতে লাগা বলও পেনাল্টি না দেয়ায় রেফারিকে দায়ী করছেন মোসেস। সুপার ঈগল ফরোয়ার্ড বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই এটি মেসির দিন ছিল! যদি আপনি এটা আবারও দেখেন, তবে আমরা সবাই বলব এটা পেনাল্টি। তিনি (রেফারি) দ্বিতীয়বার সেটা দেখেন এবং বলেন পেনাল্টি হয়নি। কিন্তু যদি আপনি রিপ্লে দেখেন, তবে এটা পুরোপুরি পেনাল্টিই দেখবেন।’
নাইজেরিয়া আর্জেন্টিনার মতো বড় দল নয় বলেই এমন পক্ষপাতিত্ব হয়েছে, অভিযোগ মোসেসের। চেলসির সাবেক মিডফিল্ডার বলেন, ‘বড় দেশগুলোর পক্ষেই সিদ্ধান্ত হয়, ছোট দলগুলোর বেলায়? আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আপনারা নিজেরাই নিজেদের মতামত দিন, আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি।’
যদি সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়াই না হয়, তবে ভিএআর প্রযুক্তির কি দরকার? এমন প্রশ্ন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের, ‘ভিএআর কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যই। যদি সেটা না হয়, তবে এটা রাখার কোনো মানে হয় না।’
নিজেদের কথার স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে পর্তুগালের ম্যাচটিকে সামনে এনেছেন মোসেস, যে ম্যাচে ইরানের মোরতেজাকে কনুই দিয়ে আঘাত করার পরও রোনালদোকে লাল কার্ড দেয়া হয়নি। মোসেসের মতে, এসব কিছুই বড় দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব, ‘এটা অবশ্যই পেনাল্টি ছিল। ইরান আর পর্তুগালের ম্যাচেও এমন একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা ঠিক তেমনই পরিস্থিতি ছিল। রেফারির অবশ্যই এটা দেয়া উচিত ছিল।’