Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

trumpউত্তর কোরিয়াকে এখনও বড় ধরনের হুমকি আখ্যায়িত করে দেশটির বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও এক বছরের জন্য বহাল রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ মাত্র দশদিন আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া এখন আর কোনও পারমাণবিক হুমকি নয়। এর মাধ্যমে আবারও ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলেন।

ট্রাম্প এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সামরিক মহড়া স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের দাবি, কূটনৈতিক সমঝোতাকে সমর্থন জানাতেই মহড়া স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে চলতি সপ্তাহে উভয় দেশের আরেকটি বড় ধরনের মহড়া স্থগিত করা হয়েছিল।

chardike-ad

২০০৮ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে। এরপর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এই অবস্থা নিয়মিত জারি এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গেছেন।

শুক্রবার ট্রাম্প এই জাতীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়িয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসকে এক নোটিশে ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সরকারের পদক্ষেপ ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রের কারণে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিষেধাজ্ঞাও জারি থাকছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, শুক্রবার স্বাক্ষরিত ট্রাম্পের ঘোষণায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। এক দশক আগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ।

এর আগে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি আর নেই। ওই সম্মেলনে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন হয়। সেই চুক্তির বিষয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কোরীয় উপদ্বীপে ‘উষ্কানিমূলক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে চমক দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি। আগে এই সামরিক মহড়া সমর্থন করলেও ট্রাম্প সেদিন একে ‘উষ্কানিকমূলক’ আখ্যা দেন।