Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
moon-with-tony
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত সে দেশে খাওয়ার জন্য কুকুর হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন।

কুকুরের মাংস দক্ষিণ কোরিয়ার রন্ধনশৈলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বছরে প্রায় ১০ লাখ কুকুর সেখানে খাওয়া হয়। সম্প্রতি সেখানে কুকুরের মাংসের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। কারণ, তরুণ প্রজন্ম কুকুরকে খাদ্য হিসেবে দেখার চেয়ে মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কুকুর মারার জন্য কোনো কসাইখানার লাইসেন্স দেয় না। কুকুর পালনকারীরা তাঁদের ঘরগুলোই কসাইখানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। সেখানে খুব নির্মমভাবে কুকুর হত্যা করা হয়। বিষয়গুলো নিয়ে পশু অধিকার রক্ষাকারী দলসহ বেশ কিছু মহলে সমালোচনা হয়। এ কারণে কোনো নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আসার আগে থেকেই কর্তৃপক্ষ পশু সুরক্ষা আইন আহ্বান করে কুকুর লালন-পালনের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় কুকুর হত্যার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

chardike-ad

পশু অধিকার রক্ষাকারী দল কেয়ার গত বছর স্থানীয় বুচিয়ন সিটির একটি কুকুরের খামারের পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ ছিল, তারা কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই পশু জবাই করে এবং প্রচলিত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে।

পরে সেই পরিচালক বুচিয়ন সিটি আদালতের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হন। আদালতের মতে, কুকুর হত্যা করার জন্য মাংসের ব্যবহার কোনো বৈধ কারণ হতে পারে না। এ কারণে তার প্রায় দুই লাখ টাকার বেশি জরিমানা হয়।

কেয়ারের আইনজীবী কিম কিয়োং-ইউন এ রায়কে স্বাগত জানান। তাঁর মতে, এ রায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কুকুরের মাংস খাওয়ার জন্য কুকুর হত্যা অবৈধ সংক্রান্ত এটাই আদালতের প্রথম রায়। আদালতের এ সিদ্ধান্তে কুকুর পালনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

কুকুর পালনকারীদের একটি সংঘের মুখপাত্র কো হান-রো ওয়াইটিএন টেলিভিশনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত। আমরা এটা মানি না। সারা দেশে প্রায় ১৭ হাজার কুকুরচাষি রয়েছে। আমি সরকারের কাছে কুকুরের মাংস খাওয়াকে বৈধতা দেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি কুকুর হত্যার জন্য কসাইখানা তৈরি ও তার লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায় আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।’

কো হান-রোর মতে, খাওয়ার জন্য গড়ে তোলা কুকুর আর লালন-পালনের জন্য গড়ে তোলা কুকুর এক নয়। এদের আলাদা করা উচিত। কারণ, তাদের খাওয়ানো থেকে শুরু করে বড় করে তোলার প্রক্রিয়া ও উদ্দেশ্য ভিন্ন হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের কাছে কো হান-রোর জিজ্ঞাসা, কুকুর, শূকর, মুরগি, হাঁস খাওয়া গেলে, কুকুর কেন খাওয়া যাবে না।

সূত্রঃ প্রথম আলো