আবারও ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম। এর ফলে ২২ ক্যারেটের (সবচেয়ে ভালো মানের) প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে। বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংগঠনটি বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৮ মার্চ ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমেছিল। ফলে এ নিয়ে দুই দফায় ভরিপ্রতি দাম কমল প্রায় আড়াই হাজার টাকা। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) বুধবার প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৩৯.৭ ডলার। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসাবে) ৩৭ হাজার ৬৯৩ টাকা। ফলে দাম কমার পরও দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য ১২ হাজার ১১২ টাকা। অর্থাৎ স্বর্ণের বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৮০৫ টাকা। বুধবার এর দাম ছিল ৫০ হাজার ৯৭১ টাকা। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪৮ হাজার ৬৯৭ টাকা থেকে কমে ৪৭ হাজার ৫৩০ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরি ৪৩ হাজার ৬২৩ টাকা থেকে কমে ৪২ হাজার ৪৫৬ টাকায় বিক্রি হবে।
ফলে ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ১৬৭ টাকা। তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম বেড়েছে। এ মানের স্বর্ণ প্রতি ভরি স্বর্ণ ২৬ হাজার ৪১৮ টাকা থেকে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বেড়ে ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। অন্যদিকে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দাম অনুসারে প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৪৯ টাকায় বিক্রি হবে। তবে একজন ক্রেতা কোনো জুয়েলারির দোকান থেকে স্বর্ণের অলংকার কিনতে চাইলে তাকে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এরপর ভরিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি দিতে হয়।
জানা গেছে- মানভেদে দেশে চার ধরনের স্বর্ণ বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২২ ক্যারেটে ৯১.৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭.৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। আর পুরনো স্বর্ণালংকার গলিয়ে তৈরি করা হয় সনাতন পদ্ধতির সোনা। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা নেই।