Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

nikki-haleyজাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনৈতিক পক্ষপাত’ ও ‘চরম ইসরায়েলবিরোধী বলে অভিযোগ এনেছে। মঙ্গলবার (১৯ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ত্যাগের কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।

মাইক পম্পেও কাউন্সিলকে মানবাধিকারের ‘দুর্বল রক্ষক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে নিকি হ্যালি সংস্থাটিকে ‘কপট ও স্বার্থপরায়ণ’ আখ্যায়িত করে সংস্থাটি মানবাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

chardike-ad

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ‘চরম ইসরায়েলবিরোধী’ বলে গত বছরই সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন হ্যালি। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, সংস্থাটির সদস্যপদের বিষয়টি মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত হয়। জেনেভাভিত্তিক এই কাউন্সিলের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সমুন্নত ও সুরক্ষা। অধিকারকর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা সমুন্নত রাখার তৎপরতা ব্যাহত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার মুখপাত্রের মাধ্যমে বিবৃতিতে বলেছেন, এই কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টিকে অধিকতর শ্রেয় মনে করেন তিনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাব্যঞ্জক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে খবরটি বিস্ময়কর নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হলো প্রথম কোনো রাষ্ট্র যে দেশটি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিল।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।