রাশিয়ার বিপক্ষে বাঁচামরার লড়াইয়ে ৩-১ গোলে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে মিসরকে। ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপে খেলতে এসে কার্যত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। অংকের মারপাচে যদিও টিকে রয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া।
রাশিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত মিসর একাদশে ইনজুরি কাঁটিয়ে ফেরেন মোহামেদ সালাহ। ম্যাচের ৬ মিনিটেই সামেদভের ক্রস থেকে ইগনাশেভিচ হেড করলে সেটি তালুবন্দী করেন মিসর গোলকিপার এল শেনাউই। ১৬ মিনিটে ত্রেজিগেতের দূরপাল্লার শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচে রাশিয়ানদের আক্রমণে একদম কোণঠাসা হয়ে পড়ে মিসর।
মাঝের সময়টা সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি রাশিয়া। ৩৫ মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারতো মিসর। কিন্তু মহসিনের হেড গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় তারা। ৪২ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে মোহামেদ সালাহর বাকানো শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়া। ডি বক্সের ভেতর মিসরের আহমেদ ফাতি আত্মঘাতী গোল করলে পিছিয়ে পড়ে মিসর। বিশ্বকাপে এটি ৫ম আত্মঘাতী গোল। কেবলমাত্র ১৯৯৮ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৬ টি আত্মঘাতী গোল হয়েছিল।
৬১ মিনিটে মিসরের গোলমুখে আরেকটি পেরেক ঢুকিয়ে দেন প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক চেরিশভ। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত ক্রসে ডি বক্সের ভেতর দুর্দান্ত শটে গোল করেন চেরিশভ। টুর্নামেন্ট ৩ গোল করে যুগ্নভাবে রোনালদোর সঙ্গে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসলেন তিনি।
এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবারো গোল করে রাশিয়া। ঘরের মাঠে খেলার পুরোপুরি ফায়দা তুলে ৬৪ মিনিটে কুতপভের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ডি বক্সের ভেতর এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ডান পায়ের গোলবার ঘেষা শটে রাশিয়াকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন জিউবা। প্রথম ম্যাচেও গোল করেছিলেন এই স্ট্রাইকার। অবিশ্বাস্যভাবে, বিশ্বকাপে দুই ম্যাচেই ৮ গোল করলো রাশিয়া।
তিন গোলে পিছিয়ে থেকে টিকে থাকতে আক্রমণের ধার বাড়ায় মিসর। ৭৩ মিনিটে সালাহকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে রেফারি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেন। ভিএআরের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হয়। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে মিসরের হয়ে প্রথম গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ। তৃতীয় মিসরীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন সালাহ।
এক গোল শোধ দিলেও রাশিয়ার আক্রমণে রীতিমত পরাস্ত হয় মিসর। শেষ দিকে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি মিসর। আর এতেই বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল স্বাগতিক রাশিয়া।